বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
‘মিয়ানমার সরকার আমাদের বলছে যে তারা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত আছে। এর নমুনা হিসেবে তারা আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে তারা সম্প্রতি রাজি হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের আগে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যখন এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের যাওয়া শুরু হবে তখন তারা গিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করবে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের জায়গা সরকার দখল করে নেয়া প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, তার এ বিষয়ে জানা নেই। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য নিশ্চয় কিছু ব্যবস্থা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মিয়ানমার যে অভিযোগ করছে তার জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের শর্ত আছে আর তা হলো এটি স্বেচ্ছায় হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বোঝানোর দায়িত্ব মিয়ানমারের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে দেশটি ব্যর্থ হয়েছে।
‘বাংলাদেশ চায় যে মিয়ানমার তাদের লোকদের যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যাক,’ বলেন ড. মোমেন।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের চিন্তা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সাময়িক ব্যবস্থা, কোনো সমাধান নয়। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের বসতি ঘন হওয়ায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় তাদের জন্য ভাসানচরে সাময়িক ব্যবস্থার চিন্তা করা হয়েছে। কিন্তু মূল সমাধান হলো মিয়ানমারের লোকদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।