তিনি বলেন, ‘আমরা এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই এবং এ উদ্দেশে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি যদি সমাধান না করা হয়, তাহলে এ সংকট পুরো এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে ‘কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)’ এর পঞ্চম সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যাতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরতে পারে সেজন্য সিআইসিএ অংশীদারদের কাছ থেকে সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, বিশ্ব জানে যে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে যে গণহত্যা ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তাকে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ ও ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
‘রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক তাদের পূর্বপুরুষের ভিটা থেকে বিতাড়িত হয়েছে এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা দরজা খুলে দিয়েছি এবং এখনও তাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি,’ যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।
বর্তমানে এশিয়া চরমপন্থী সহিংসতা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, জোরপূর্বক দেশান্তরসহ বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।