রাষ্ট্রপতি ভবন ইস্তানায় গত ১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রশংসা করেন।
এ সময় নিজ ভূমিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হাইকমিশনার আসিয়ানসহ অনান্য ফোরামে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চাইলে রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব এ বিষয়ে তার দেশ গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
বিদায়ী হাইকমিশনার করোনা মহামারিজনিত বৈশ্বি সংকটের মাঝেও ডরমিটরিতে বসবাসরত বিদেশি শ্রমিকদের নিয়মিত বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ, মজুরি নিশ্চিতকরণ, আক্রান্তদের সুচিকিৎসা প্রদানসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস ও সার্বিক কল্যাণে সিঙ্গাপুর সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সিঙ্গাপুর সরকারের নেয়া এসব উদ্যোগকে সারা বিশ্বের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও বিভিন্ন ডরমিটরিতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে রিলিফ কার্যক্রম পরিচালনা এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধিতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখায় বিদায়ী হাইকমিশনারের প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতকালে হাইকমিশনার তার দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালনকালে স্বাগতিক সরকার থেকে প্রাপ্ত সার্বিক সহযোগিতার জন্য সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময়ে সিঙ্গাপুরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের পূর্বে বিদায়ী সাক্ষাতকারের অংশ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইন্দ্রানী রাজাহ এবং মানবসম্পদমন্ত্রী ড. তান সি লেঙয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সিঙ্গাপুরে প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে মোস্তাফিজুর রহমান জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরসমূহে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে
দায়িত্ব গ্রহণের উদ্দেশ্যে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন।