বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর জানান, ভারত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার লেখা চিঠিতে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ড. এস. জয়শংকর।
তাছাড়া দু’দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পারিক অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলেও পত্রে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর।
বাংলাদেশ চায় অন্য দেশগুলো নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন ও জীবনযাপনের বোঝা ভাগ করে নিয়ে তাদের নিজেদের দেশে বা তৃতীয় কোনো দেশে তাদের স্থানান্তর ও বসবাসের সুযোগ করে দিক।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হওয়ার পরে প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এখনো কোনো রোহিঙ্গা দেশটিতে ফিরে যায়নি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চালানো সামরিক অভিযানের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বেশিরভাগ রোহিঙ্গাসহ মোট ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলায় বসবাস করছে।