পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার আহ্বান জানিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়ায়’ বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধ করতে এবং যদি তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাশিত।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
৩ দিন আগে
আদেশ নেই, ছবিও নেই: নীরবেই রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়েছে মিশনগুলো
বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে, গেল কয়েক মাস ধরে জিরো পোর্ট্রেট নীতি বা কোনো ছবি না রাখার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশে অবস্থানরত এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি বলতে পারি, সদর দপ্তর থেকে লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে ইঙ্গিতটা বোঝার দরকার আছে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে শপথ কে পড়াবেন, মতামত জানতে ৭ অ্যামিক্যাস কিউরি নিয়োগ
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুটি দিক রয়েছে— ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরানো হয়েছিল। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মিশনপ্রধানদের নিয়ে অনলাইনে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘যখন আমরা দেখি মন্ত্রণালয়ে কোনো ছবি নেই, তখন সেটা সংকেত দেয়। তাই রাষ্ট্রপতির ছবিও কয়েক মাস আগেই সরানো হয়েছিল,’ বলেন ওই কূটনীতিক।
তিনি আরও জানান, তার ধারণা অধিকাংশ মিশন কয়েক মাস আগে থেকেই একই ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ অনুসরণ করেছে।
ইউএনবির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শুধু বলেন, ‘হ্যাঁ।’
সাম্প্রতিক নির্দেশনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, `বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, মৌখিকভাবে।’
১২২ দিন আগে
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি: স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
চারদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ঘোষিত যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কোনো শর্ত ছাড়াই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতা ও সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তরে আলোচনাকে বাংলাদেশ গভীরভাবে প্রশংসা করছে। পাশাপাশি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: অবশেষে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া
থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শতবর্ষের পুরোনো সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে।
একইসঙ্গে, সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জীবন ও জীবিকাকে স্থিতিশীল রাখতে দুই দেশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা করে ঢাকা।
শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
১৪১ দিন আগে
বাংলাদেশে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তার আশ্বাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
রাজধানীর খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির ভাঙচুর নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
একই সঙ্গে সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশে সব ধর্মীয় উপাসনালয় ও সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উদার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে প্রত্যেক নাগরিক— যার যেই ধর্ম বা বিশ্বাসই থাকুক না কেন— স্বাধীনভাবে বাস করে এবং উন্নতি করতে পারে।মন্ত্রণালয় বলেছে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে খিলক্ষেত এলাকায় দূর্গা মন্দির ভাঙচুরের যে অভিযোগ উঠেছে, তা পুরো ঘটনা উপেক্ষা করে প্রচারিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালের দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে পূর্ব অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করে।
পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে পূজা আয়োজনের অনুমতি দেয়। শর্ত ছিল পূজা শেষে ওই মণ্ডপ সরিয়ে নিতে হবে।কিন্তু পূজা শেষে মণ্ডপ সরানোর কথা থাকলেও আয়োজকরা তা না করে সেখানে ‘মহাকালী’ প্রতিমা স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে মণ্ডপটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন। যা ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের নিজস্ব সমঝোতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এবং এলাকায় থাকা অবৈধ দোকান, রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেয়।রেলওয়ে বলেছে, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পূর্বদিকে ২০০ ফুট পর্যন্ত জমি তাদের প্রয়োজন। অথচ ওই জমিতে শত শত অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বারবার সতর্ক করার পরও অবৈধ দখলদাররা জমি ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: গ্লানি মুছে গড়তে হবে সুন্দর পৃথিবী: অধ্যাপক ইউনূস
অবশেষে ২৪ ও ২৫ জুন রেলওয়ে আবারও সকলকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলে।২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ খিলক্ষেত এলাকায় অস্থায়ী মণ্ডপসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্ছেদ চলাকালে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে পূর্ণ মর্যাদায় মণ্ডপের প্রতিমা বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় নির্মিত সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত করে। তবে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা যদি অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ঘটনায় আয়োজকরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আস্থা ও সদিচ্ছার অপব্যবহার করেছেন বলে মন্তব্য করেছে মন্ত্রণালয়।সরকার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়িয়ে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শান্ত থাকতে।
১৭৩ দিন আগে
ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের অঙ্গীকার
ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান। সেই সঙ্গে পরস্পরের প্রতি প্রতিবেশীসুলভ আচরণ, পারস্পরিক আস্থা, সমতা, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি ও যৌথ উন্নয়নের নীতির ভিত্তিতে এই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দেশ তিনটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের কুনমিং শহরে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে তিন দেশই জোর দিয়ে বলেছে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ সহযোগিতা সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাকে অনুসরণ করে। এই সম্পর্ক যে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে নয়, তা-ও উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইদং এবং পাকিস্তানের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী অংশ নেন। বৈঠকের প্রথম ধাপে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচও অংশগ্রহণ করেন।
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।
সান ওয়েইদং বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতের এক অভিন্ন সমাজ গড়তে চীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—উভয়ই চীনের ভালো প্রতিবেশী, বন্ধু ও অংশীদার। পাশাপাশি তারা উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও বটে।’
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং আঞ্চলিক অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে এই তিন দেশের সামনেই রয়েছে জাতীয় পুনরুত্থান ও আধুনিকায়নের লক্ষ্য, যা অর্জনে প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ।
ওয়েইদং বলেন, ‘চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সহযোগিতা তিন দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এই ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
তিনটি দেশই শিল্প, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, পানিসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজসহ বিভিন্ন খাতে প্রকল্প অনুসন্ধান ও বাস্তবায়নে একমত হয়েছে।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মী দল (ওয়ার্কিং গ্রুপ) গঠন করতেও সম্মত হয়েছে তারা।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠক ছিল বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থার ‘প্রথম বৈঠক’।
দেশটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্র, যেমন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি, পরিবেশ সুরক্ষা ও সমুদ্রবিজ্ঞান, সবুজ অবকাঠামো, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহযোগিতা গভীরতর করার বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে জাপান, বাংলাদেশকে সহযোগিতা বাড়ানোর আশায় ড. ইউনূস
বৈঠকের ফাঁকে কুনমিংয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী হাজি মৌলবি আব্দুল সালাম হানাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সান ওয়েইদং। তিনি রুহুল আলম সিদ্দিকী ও ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গেও পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
১৭৯ দিন আগে
চারদিনের সফরে ৯ জুন যুক্তরাজ্য যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ১০-১৩ জুন যুক্তরাজ্য সফর করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস। এ সময়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে তাকে।
এছাড়াও দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার (৪ জুন) এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।’
এই সফরে অধ্যাপক ইউনুস ব্রিটিশ রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এর বাইরেও বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার যে কর্মসূচি উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: আগামীকাল ফের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী জনগণের আবাসস্থল।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়েও উদ্যোগী হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি জানান, যুক্তরাজ্য সফরের সময় পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সফরে রাজা চার্লস তৃতীয় অধ্যাপক ইউনুসকে সম্মানজনক ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত করবেন, যা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের আরও উন্নয়ন এবং সহযোগিতার প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করবে।
১৯৬ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান হামলা: পরিস্থিতির অবনতি চায় না বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তানের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, এমন যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে দিল্লি-ইসলামাবাদকে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
বুধবার (৭ মে) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতি পাঠ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।। বিবৃতি অনুসারে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এ সময়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে বাংলাদেশ আশাবাদী।’ পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
আরও পড়ুন: ভারতকে হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার পাকিস্তানের, বেড়েছে যুদ্ধের শঙ্কা
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।’
তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
এবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তান। এতে প্রতিবেশি দেশদুটির মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘আমার প্রিয় পাকিস্তানি জনগণ, আমাদের সেনাবাহিনী ও জনগণ সবসময় আপনাদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমরা অবশ্যই ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াব এবং বিজয়ী হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সত্যের পক্ষে লড়ছি, তাই আশা করি আল্লাহ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনায় আন্তর্জাতিক উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে।
২২৩ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শান্তি ও সংযমের আহ্বান বাংলাদেশের
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৭ এপ্রিল) এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
এতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ আশাবাদী যে এই উত্তেজনা কূটনৈতিকভাবে নিরসন হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল, বিমানবন্দর বন্ধ
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটি একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
এমন বাস্তবতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারতের হামলার মধ্য দিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশ।
২২৪ দিন আগে
মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
মরক্কোতে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে না ফিরে কানাডায় গিয়ে সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা ও বিগত সরকারের সাফাই গাওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের জেরে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর মরক্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এ সত্ত্বেও তিনি স্বপদে বহাল থেকে এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ হারুন ফেসবুকে ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী ‘নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের’ গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।”
“বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তার এবং তার পরিবারের (সদস্যদের) পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না জানিয়ে ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
২৭৮ দিন আগে
দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’আরও পড়ুন:ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
‘এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে,’ বলেন রফিকুল আলম।আরও পড়েন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৩১১ দিন আগে