পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
মরক্কোতে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে না ফিরে কানাডায় গিয়ে সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা ও বিগত সরকারের সাফাই গাওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের জেরে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর মরক্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এ সত্ত্বেও তিনি স্বপদে বহাল থেকে এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ হারুন ফেসবুকে ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী ‘নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের’ গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।”
“বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তার এবং তার পরিবারের (সদস্যদের) পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না জানিয়ে ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
৩৪ দিন আগে
দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’আরও পড়ুন:ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
‘এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে,’ বলেন রফিকুল আলম।আরও পড়েন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৬৬ দিন আগে
লেবানন থেকে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ
লেবাননে চলমান সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আগামী ২১ অক্টোবর প্রথম ধাপে আহত, নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে তাদের।
এরইমধ্যে দেশে ফেরার আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে তালিকাভুক্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে যৌথভাবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লেবানন থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, প্রবাসীকল্যাণ সচিব রুহুল আমিন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিউর রহমান একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন প্রধানরা জুম প্ল্যাটফর্মে এ সভায় যোগ দেন।
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্র সচিব।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০৬
যারা ফিরতে চান না তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তালিকাভুক্তির জন্য দূতাবাস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসার ইচ্ছা জানায়।
এছাড়াও আশ্রয় নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের অনতিবিলম্বে দূতাবাসের হেল্পলাইন ও হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
ফ্রন্ট ডেস্ক নম্বর ৭১২১৭১৩৯, হটলাইন নম্বর ৭০৬৩৫২৭৮ ও হেল্পলাইন নম্বর ৮১৭৪৪২০৭।
ইমেইলে যোগাযোগ করুন- beirut.mission@mofa.gov.bd।
আরও পড়ুন: লেবাননে সংঘাত: প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ এলাকায় অবস্থান নিতে আহ্বান দূতাবাসের
১৮২ দিন আগে
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে পুনর্ব্যক্ত করে এবারও দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সারা বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এসব মণ্ডপে হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশুরা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি চিরন্তন পরিচয় যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে বাংলাদেশের জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকার সদা সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
১৮৫ দিন আগে
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
এরইমধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ও বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের মিশন প্রধানরা যুক্ত ছিলেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র সচিব লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশনা দিয়েছেন। লেবাননে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশি দেশে আসতে ইচ্ছুক নন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এরইমধ্যে দূতাবাস থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার অভিবাসীকর্মী প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক।
লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক সব বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১৯০ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকায় সদর দপ্তর ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুব শিগগরই এ অর্থ তহবিলে জমা করা হবে। দেশের বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
২৩২ দিন আগে
বাংলাদেশে সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান নেপালের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নেপাল সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'আমরা সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুশৃঙ্খলভাবে ফিরে আসার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশের জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে একটি মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
২৫২ দিন আগে
সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোক পালন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক পালন করেন।
এছাড়া, নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দুপুরে মন্ত্রণালয়ের মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
২৬১ দিন আগে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সঙ্গে যে ‘বিশেষ অংশীদারিত্ব’ রয়েছে তা ‘গভীর ও জোরদার’ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিস্তৃত সহযোগিতার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এই সফর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক, কারণ সম্পর্কটি বিশেষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, যেসব আলোচনা, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হতে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আগামীকাল (২২ জুন) সবাই বিস্তারিত জানতে পারবে।
তবে উভয় পক্ষই এই বিশেষ অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর বলে জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রতিরক্ষাসম্পর্কিত যেসব বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হবে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাংবাদিকরা।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৩০০ দিন আগে
ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের প্রত্যাবাসন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই প্রত্যাবাসন সফল হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় সেখানে ছিলেন- কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বা দেশটিতে যাওয়ার পর আটক হওয়া বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
৩৫২ দিন আগে