পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সঙ্গে যে ‘বিশেষ অংশীদারিত্ব’ রয়েছে তা ‘গভীর ও জোরদার’ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিস্তৃত সহযোগিতার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এই সফর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক, কারণ সম্পর্কটি বিশেষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, যেসব আলোচনা, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হতে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আগামীকাল (২২ জুন) সবাই বিস্তারিত জানতে পারবে।
তবে উভয় পক্ষই এই বিশেষ অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর বলে জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রতিরক্ষাসম্পর্কিত যেসব বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হবে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাংবাদিকরা।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের প্রত্যাবাসন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই প্রত্যাবাসন সফল হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় সেখানে ছিলেন- কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বা দেশটিতে যাওয়ার পর আটক হওয়া বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে বন্দী থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের বিশেষ উদ্যোগে দেশে ফেরেন তারা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন তাদের নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
কমল জেটিঘাটে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার।
অন্যদিকে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষকালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যরা আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শেষে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এরপর দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মিয়ানমারে বন্দী বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
প্রথমে মিয়ানমার কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে রাজি হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাই করা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হয় দেশটি। পরে আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংকক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এটিই হবে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
এই সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, এটি বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
সফরকালে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
তিনি আরও বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিন এবং তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
একই দিনে গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপে ভাষণ দেবেন তিনি। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা, মন্ত্রী ও অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেবে। এখানে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে যা এরই মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবস্থান অনন্য।
এরই মধ্যে, এই অঞ্চল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ফিন্যান্স, গভটেক ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তির মাধ্যম ডিজিটালি চালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য, এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান দিয়েছে কর্মকর্তাদের সহধর্মিণীদের সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন (ফোসা)।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে ফোসা সভাপতি ফাহমিদা জাবীনের সভাপতিত্বে এ অনুদান বিতরণ করেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী নূরান ফাতেমা।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভার নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ফোসার এ উদ্যোগের প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা যাতে বহাল থাকে সে লক্ষ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন নূরান ফাতেমা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মঙ্গলময় কর্মকাণ্ডের জন্য ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও উৎসাহ দেন।
আরও পড়ুন: দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির সদস্যদের খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন।
এ বিষয়ে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন যত শিগগিরই সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
সাবরীন বলেন, ‘এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকালে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতি দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কূটনৈতিক তৎতপরতা ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সহায়তা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন। সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহু পাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
‘কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না’ বলা হলেও কেন বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না।’
নৌরুট ও আকাশ পথে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদে দ্রুত ফেরত পাঠানোই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয় বা কোনো পূর্বশতও নয়। বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগেও ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে চায়। এখানে সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক।’
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর বলে মন্তব্য করেন তিনি। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েছে বলে জানান।
সাবরীন বলেন, একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথম দিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্রশসত্র জমা দিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণবিরোধী অবস্থানের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি অভিযোগ করেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতি দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয় একতরফা নির্বাচনের পক্ষে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে যে বিএনপি ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবরোধ কার্যকর করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা বিবৃতি সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশে একটি একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নব্য রাজাকারের ভূমিকা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ‘এটি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী দাবি করেন, ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একতরফা সাজানো নির্বাচন বর্জন করেছে। তারাও (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
বাংলাদেশ মিয়ানমারে বিদ্যমান বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ রয়েছে। উপযুক্ত সময় ও পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংকে উদ্ধৃত করে সাবরীন বলেন, চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দ্বিতীয় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) (১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) অধিবেশনে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ উদারতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা একশ মিলিয়নেরও অধিক শরণার্থীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ধারণা দিয়েছেন এবং প্রথম পযার্য়ের প্রত্যাবাসনের জন্য নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পূর্বনিবাস যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে তা করা হবে। ডিটেনশন সেন্টারে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন বাংলাদেশিকে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১১০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের।
আইওএম তাদের প্রত্যেককে ৫৮৯৬ টাকা পকেট মানি ও কিছু খাবার দিয়েছে।
বিকল্প মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মনে হচ্ছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে 'মিথ্যা ও বানোয়াট' তথ্য দিয়ে সরকারকে ‘কলঙ্কিত করার ইচ্ছায় তারা প্রভাবিত’ হয়েছেন।
ওএইচসিএইচআর-এর ১৪ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের একতরফা পর্যবেক্ষণ বিশেষ করে তাদের সঙ্গে সরকারের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রেক্ষাপটে অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সরকারকে বাধ্য করেছে।’
বিশেষ দূত তিনজন হলেন- মতামত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় বিশেষ দূত আইরিন খান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংঘের স্বাধীনতার অধিকার সম্পর্কিত বিশেষ দূত ক্লিমেন্ট ন্যালেটসোসিভোল এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ দূত মেরি ললর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দূতদের মন্তব্য এবং তাদের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্বলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সময়টি কৌতূহলপূর্ণ।
বাংলাদেশের জবাবে বলা হয়, বাংলাদেশের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) আগের দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাদের সুপারিশ করার সময় মানবাধিকার উপভোগের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আইনি, নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বিশেষ দূতদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে মূলত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে বর্তমান শ্রমিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, আদিলুর রহমান খান ও রোজিনা ইসলামের মতো অন্যান্য ব্যক্তিগত মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ যেখানে আইনের শাসন বিদ্যমান। সে অনুযায়ী, তিনটি মামলা স্বাধীন বিচার বিভাগের আইন আদালতে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
বিশেষ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, তার বিরুদ্ধে মামলাটি তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানির শ্রমিকদের তাদের মুনাফার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সুতরাং এটি বিস্ময়কর যে বিশেষ দূতরা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছে যখন সরকার প্রকৃতপক্ষে শ্রম ও মানবাধিকার রক্ষা করছে।’
তা ছাড়া, ইউপিআর অধিবেশনে, দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সময়, বিশেষ দূতদের উত্থাপিত বেশিরভাগ বিষয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল স্পষ্ট করেছে।
মানবাধিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আশ্বস্ত করে বলেছে, বিভিন্ন দেশের সুপারিশ বাস্তবায়নে তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সরকার বুঝতে পারছে না ইউপিআরের সময় দেওয়া সুপারিশগুলো তুলে ধরতে সরকারকে কোনো সময় না দিয়ে এত তাড়াহুড়ো করে বিশেষ দূতদের এই জাতীয় মন্তব্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা কী।’
সরকার বিশেষ দূতদের আচরণকে তাদের নিজ নিজ ম্যান্ডেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও উপযুক্ত নয় বলে মনে করে। তারা মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ পদ্ধতির অংশ যা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
এছাড়াও এতে আশা করা হয় তারা তাদের মানবাধিকার লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সমর্থন করার জন্য মানবাধিকার সম্পর্কে প্রতিবেদন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য তাদের স্বীকৃতি বা গ্রহণযোগ্যতাকে ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ সরকার আশা করে, বিশেষ দূতদের আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের আদেশ পালনে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুঃখজনকভাবে বিশেষ দূতদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি, যারা এই ধরনের নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ নিয়ে এসেছিল। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউপিআর সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ইউপিআর পরীক্ষার আওতায় ছিল মাত্র চৌদ্দটি দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মজার বিষয় হলো, বিশেষ দূতরা কেবল বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তারা অগণিত উন্নতির বিষয়ে নীরব ছিল কারণ এই পরীক্ষার রিভিউতে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দূতরা প্রশংসা করেছে।’
‘এটি করে তারা বিশেষ দূত হিসেবে তাদের জাতিসংঘের পরিচয়কে অসম্মান করেছে। তারা মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারের অপব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত ও পক্ষপাতদুষ্ট মতামত প্রচার করে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে,’ বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সরকার ইউপিআরের সময় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সুপারিশকে গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে স্বাগত জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউপিআর-এর পরপরই একই বিষয়ে নেতিবাচক মূল্যায়ন করে বিশেষ দূতরা সদস্য দেশগুলোর সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণকে এক প্রকার অসম্মান করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের ওপর জরুরি এবং গুরুত্ব আরোপের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের’ প্রতি আহ্বান জানান। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর উচ্চতর নৈতিক অবস্থান নেওয়া এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদন গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের আহ্বান তাদের কর্তব্যের আহ্বানের চেয়ে অনেক বেশি। এই তিন বিশেষ দূতের মধ্যে একজন বাংলাদেশের এবং সম্প্রতি তিনি সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণে অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখিয়েছেন। তিনি অন্যান্য দেশের বিষয়ে আপেক্ষিক নীরবতা বজায় রেখেছেন। এত আংশিক, পক্ষপাতদুষ্ট, বিষয়ভিত্তিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করার ফলে বিশেষ দূতরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।’
বাংলাদেশ সরকার একটি সুষ্ঠু মানবাধিকার ব্যবস্থার জন্য বিশেষ পদ্ধতির স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘যদিও তারা আশা করে যে বিশেষ দূতরা তাদের স্বীকৃতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন, তবে এটি আশা করে যে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় তাদের আদেশগুলো নিরপেক্ষভাবে পূরণ করতে সহায়তা করবে এবং তাদের বিষয়ভিত্তিক ঘোষণার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার