পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
লেবানন থেকে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ
লেবাননে চলমান সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আগামী ২১ অক্টোবর প্রথম ধাপে আহত, নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে তাদের।
এরইমধ্যে দেশে ফেরার আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে তালিকাভুক্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে যৌথভাবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লেবানন থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, প্রবাসীকল্যাণ সচিব রুহুল আমিন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিউর রহমান একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন প্রধানরা জুম প্ল্যাটফর্মে এ সভায় যোগ দেন।
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্র সচিব।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০৬
যারা ফিরতে চান না তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তালিকাভুক্তির জন্য দূতাবাস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসার ইচ্ছা জানায়।
এছাড়াও আশ্রয় নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের অনতিবিলম্বে দূতাবাসের হেল্পলাইন ও হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
ফ্রন্ট ডেস্ক নম্বর ৭১২১৭১৩৯, হটলাইন নম্বর ৭০৬৩৫২৭৮ ও হেল্পলাইন নম্বর ৮১৭৪৪২০৭।
ইমেইলে যোগাযোগ করুন- [email protected]।
আরও পড়ুন: লেবাননে সংঘাত: প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ এলাকায় অবস্থান নিতে আহ্বান দূতাবাসের
২ মাস আগে
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে পুনর্ব্যক্ত করে এবারও দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সারা বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এসব মণ্ডপে হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশুরা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি চিরন্তন পরিচয় যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে বাংলাদেশের জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকার সদা সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
২ মাস আগে
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
এরইমধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ও বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের মিশন প্রধানরা যুক্ত ছিলেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র সচিব লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশনা দিয়েছেন। লেবাননে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশি দেশে আসতে ইচ্ছুক নন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এরইমধ্যে দূতাবাস থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার অভিবাসীকর্মী প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক।
লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক সব বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকায় সদর দপ্তর ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুব শিগগরই এ অর্থ তহবিলে জমা করা হবে। দেশের বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান নেপালের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নেপাল সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'আমরা সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুশৃঙ্খলভাবে ফিরে আসার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশের জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে একটি মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
৪ মাস আগে
সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোক পালন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক পালন করেন।
এছাড়া, নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দুপুরে মন্ত্রণালয়ের মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
৪ মাস আগে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সঙ্গে যে ‘বিশেষ অংশীদারিত্ব’ রয়েছে তা ‘গভীর ও জোরদার’ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিস্তৃত সহযোগিতার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এই সফর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক, কারণ সম্পর্কটি বিশেষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, যেসব আলোচনা, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হতে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আগামীকাল (২২ জুন) সবাই বিস্তারিত জানতে পারবে।
তবে উভয় পক্ষই এই বিশেষ অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর বলে জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রতিরক্ষাসম্পর্কিত যেসব বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হবে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাংবাদিকরা।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৬ মাস আগে
ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের প্রত্যাবাসন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই প্রত্যাবাসন সফল হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় সেখানে ছিলেন- কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বা দেশটিতে যাওয়ার পর আটক হওয়া বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
৭ মাস আগে
মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে বন্দী থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের বিশেষ উদ্যোগে দেশে ফেরেন তারা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন তাদের নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
কমল জেটিঘাটে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার।
অন্যদিকে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষকালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যরা আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শেষে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এরপর দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মিয়ানমারে বন্দী বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
প্রথমে মিয়ানমার কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে রাজি হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাই করা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হয় দেশটি। পরে আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংকক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এটিই হবে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
এই সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, এটি বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
সফরকালে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
তিনি আরও বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিন এবং তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
একই দিনে গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপে ভাষণ দেবেন তিনি। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা, মন্ত্রী ও অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেবে। এখানে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে যা এরই মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবস্থান অনন্য।
এরই মধ্যে, এই অঞ্চল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ফিন্যান্স, গভটেক ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তির মাধ্যম ডিজিটালি চালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য, এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
৮ মাস আগে