লালমনিরহাটে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম করার পরে কৌশলে ডেকে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় সোয়াইব সরকার সজীব (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট এলাকার ভুট্টাখেতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার সোয়াইব সরকার সজীব সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের আমবাড়ি এয়ারপোর্ট এলাকার কাশেম আলীর ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, বিমানবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সোহাগ নামে এক যুবক লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার (১৭ জুন) বিকালে এয়ারপোর্টে দেখা করতে মোবাইলে কলেজছাত্রীকে ডেকে নেন কথিত প্রেমিক সোহাগ।
সেখানে পাশের ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন সোহাগ। এরই মধ্যে সোহাগের দুই বন্ধু সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহাগ সরে দাঁড়ান এবং তার দুই বন্ধুও কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়।
রাত হলেও কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে কল করলে সে বাঁচানোর আকুতি জানায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুট্টাখেত থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৫ আসামি গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় ঠিকানাহীন কথিত প্রেমিক সোহাগের মোবাইল নম্বর দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজছাত্রীর বড় বোন। এ মামলায় সদর থানা পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে সোয়াইব সরকার সজীবকে গ্রেপ্তার করে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, নির্যাতিত কলেজ ছাত্রীর বোনের দায়ের করা মামলায় সজীব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৪