একই ঘটনায় জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের আরেক শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আটককৃত পাঁচজন হলেন- বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার সাকীদুল ইসলাম শাকিল (মেধাক্রম ৬৫৮), রহিমাবাদ এলাকার আবিদ মোর্শেদ, সদর উপজেলার আরিফ খান রাফি (মেধাক্রম ৭০২), শহরের বটতলা এলাকার জাহিদ হাসান তামিম (মেধাক্রম ৬৪১) ও রিয়াদুল জান্নাত রিয়াদ (মেধাক্রম ৬৬১)।
শাবি প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘বি-১’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ভর্তি জালিয়াতিতে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় রাতেই তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পাশাপাশি, চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের সামিউল ইসলাম কৌশিক নামের এক শিক্ষার্থীকেও পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রক্টর জানান, কৌশিক তিনজনকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন বলে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যাদের সবার কাছ থেকে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকার চুক্তিতে জালিয়াতির চুক্তি হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর শাবির ভর্তি পরীক্ষার দিন জালিয়াতির চেষ্টাকালে এই চক্রের আরও ৪ জনকে ধরা হয়েছে, যাদের সবার বাড়ি বগুড়ায়।
শাবি প্রক্টর আরও জানান, আটককৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সবার ওএমআর এর সেটকোড (৭৫), সবার দাগানো প্রশ্নের সংখ্যা, সঠিক উত্তর-ভুল উত্তর সমান। এদের অনেকে ওএমআর কালো টিপ দিয়ে পূরণ করে কিংবা পেন্সিল দিয়ে পূরণ করে স্বাক্ষর করার পর পরবর্তীতে ক্যালকুলেটরে উত্তর আসলে নির্দিষ্ট সেটকোড পূরণ করত।
অন্যদিকে, এ চক্রের অপর একজন ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে চলে গেছেন বলে সত্যতা পেয়েছে প্রশাসন। তার বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন।