কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ ঘোষিত তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ‘কৃষি অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করায় ঢাকা ও ময়মনসিংহের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাকৃবি কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন।
এতে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে যায়। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে, দুপুর ১টায়, শিক্ষার্থীরা আবার একই স্থানে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন অবরোধ করে। বিকাল ৩টা ৭ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমিউটার ট্রেনটি আটকে ছিল। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের সকল পদ (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমানের) কৃষিবিদদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
২. নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন না করে নবম গ্রেডে পদোন্নতির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করাসহ বিএডিসিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
৩. কৃষি ও কৃষি-সম্পর্কিত বিষয়ের স্নাতক ছাড়া অন্য কেউ ‘কৃষিবিদ’ (কৃষিবিদ) উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না। এই বিষয়ে একটি সরকারি গেজেট জারি করতে হবে।
পড়ুন: বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কেবল তাদের দাবি আদায়ের জন্যই নয়, বরং ডিপ্লোমাধারীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’ বলে বর্ণনা করার প্রতিবাদে এই অবরোধ করেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, ডিপ্লোমাধারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী কৃষি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করছে।
বাকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এই ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করি। যদি ডিপ্লোমাধারীদের একই পদবি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়—তাহলে আমাদের ডিগ্রির কী মূল্য আছে?’ তিনি দেরি না করে তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানান।