দেশের ঐতিহাসিক দিন ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের তরুণ সমাজকে অবশ্যই এই দিনগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।’
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
তিনি বলেন, 'আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, তা না হলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, ক্ষমতায় থাকা মানে শুধু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা নয়।
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থানে পৌঁছাতে যে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তার ইতিহাস জানতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবাই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করবে।’
তিনি সবাইকে দেশের ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার অনুরোধ করেন, কারণ ইতিহাস শেখায় কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় এবং সফল হতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের জনগণকে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক রূপরেখা দিয়ে গেছেন। সেই ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর আইকনিক ভাষণের মাধ্যমে যে স্বপ্নের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন, তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে নোংরা খেলা হয়েছে।’
এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'যারা জয় বাংলায় বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণ মানে না- তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই শ্রেণির মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায় না। মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে?'
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং এরপর তারা নির্বাচন বর্জন করে বা বানচালের চেষ্টা করে খেলা শুরু করেছিল।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী