নারায়ণগঞ্জের আল-আমিন নগরের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, নিহতদের একজনের নাম জয়নাল (৫০)। এছাড়া তিন বছর বয়সী এক শিশু, ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে, ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী, ৫০ ও ২৭ বছর বয়সী দুই নারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস এই কর্মকর্তা জানান,তারা পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং স্থানীয়রা জয়নালের লাশ উদ্ধার করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ২০ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ এমভি রূপসী-৯ আটক করেছে নৌ পুলিশ। দুর্ঘটনার পরপরই মুন্সীগঞ্জের ‘হোসেন দ্য ডকইয়ার্ডে’ জাহাজটি নোঙর করে।
তবে মাস্টার ও চালকসহ জাহাজের সব কর্মচারী পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে এ দুর্ঘটনার তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম সচিব ড. আ ন ম বজলুর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের তথ্য মতে, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি ‘রূপসী ৯’ মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়।
এছাড়া উদ্ধার কাজ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এবং আগামীকাল তা পুনরায় শুরু হবে। তবে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকে ঘটনাস্থলে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।