টানা দুই কার্যদিবসে সূচক হারিয়েছে দেশের শেয়ার বাজার। রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ১৮ কোটি টাকার বেশি বাড়লেও প্রধান সূচক কমেছে ৫০.৪৮ পয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক কমে ৩০ পয়েন্ট। এরপর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার লেনদেনের শুরুতে সূচক ফের নিম্নমুখী হয়। অবশ্য সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাখানেক সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা থাকলেও দিন শেষে তা ৫০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট পতন হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
রবিবার ডিএসইএসের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫৩৬৫ দশমিক ৫০ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১২ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৭৫ দশমিক ৫১ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ বিশেষ ব্লু-চিপ সূচক ১১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ১৯৫৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অবশ্য সূচক কমলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি টাকার বেশি। রবিবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন ডিএসইতে শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে ৫৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৪১ কোটি টাকা।
মোট ৩৯৪টি কোম্পানি ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে, কমেছে ২৯২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
আরও পড়ুন: সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৭৯৬.০৬ পয়েন্টে। আজ সিএসইতে মোট ২০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের।
এদিন সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৪ মাসের মধ্যে ডিএসই সূচকের বড় পতনে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা