কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ১৬ জানুয়ারি কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন।
উক্ত বৈঠকে কাতারের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন ৭ম যৌথ কমিটি মিটিং ও দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের আমীরের সম্ভাব্য পরবর্তী বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রমসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতনভাতা ও সার্ভিস বেনেফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক শ্রমমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোনো শ্রমিক তার বেতন না পেলে দেরি না করে এক মাসের ভেতরেই অভিযোগ দায়ের/দূতাবাসকে অবগত করার পরামর্শ দেন। কারণ ৩/৪ মাস কোনো কোম্পানি বেতন না দিলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ২/৩ মাসের অধিক বেতন না পেলে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত কাতারের বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ করার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি বলেন, কাতার শ্রমবাজার ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। তাই দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শ্রমিক আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং বলেন, অদূর ভবিষ্যতে কাতার আর তেমন কোনো অদক্ষ শ্রমিক আনবে না।
আরও পড়ুন: 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
শ্রম মন্ত্রণালয়ে কেস চলাকালীন থাকা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূত তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া বলেন, ‘ইতোমধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ওনলাইন লিংক করা হয়েছে, যাতে কোনো শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট করা না হয়।’
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও তনময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লী সম্পর্ক আরও বেগবান হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার