দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তথা কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই) সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বিবেচনায় অন্যান্য সব বেসরকারি পাসের পাশাপাশি বর্তমান অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলি পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করতে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) মাধ্যমে সব স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নতুন অ্যাক্রিডিটেশনের আবেদন আহ্বান করবে।
এই সময়ে যেকোনো ইভেন্টের জন্য সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এই সময়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছে সরকার।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্বগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডটি আছে, সেরকম শত শত কার্ড আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে। পতিত আওয়ামী লীগ পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড না দিয়ে এবং বাতিল করে হয়রানি করলেও বিভিন্ন ভুয়া নিউজ পোর্টাল বা পত্রিকার নামে তাদের নেতাকর্মীদের নামে শতশত কার্ড ইস্যু করেছে।’
‘এই কার্ডগুলো একটি একটি করে যাচাই-বাছাই করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। আবার সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও কোনো উপায় নেই।’
খুব শিগগিরই পেশাদার সাংবাদিকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এর মাঝে নিশ্চয়ই সাংবাদিকতা থেমে থাকবে না, সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশও থেমে থাকবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।’