বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ইউজিসিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সাথে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাগ্রহের বিষয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিদ্ধান্তহীনতার জন্য গোটা জাতির আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকতে পারে না। কারও ‘ইগো’ যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান মনে করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু ও সান্ধ্য কোর্স বন্ধে উপাচার্য ও সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসলে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যদি কেউ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা এবার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। এটি চালু হলে আগামীতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ তৈরির করে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য উপাচার্যদেরকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে গত ২৩ জানুয়ারি দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি।