বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভারতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পান্ডে।
তিন বছরের জন্য বিমসটেকের চতুর্থ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি।
তিনি ভুটানের তেনজিন লেকফেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক) আবদুল মোতালেব সরকার ও বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালকরা।
বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন মহাসচিব। এ সময় বিমসটেকের সহযোগিতার সাতটি স্তম্ভের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও দৃঢ় করতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবে রূপ দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তিনি।
বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মহাসচিবের কাছে দায়িত্ব অর্পণের জন্য ধন্যবাদ জানান ইন্দ্রমণি। একই সঙ্গে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করেন। আগের মহাসচিবদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত পান্ডে ১৯৯০ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেন।
মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এর আগে তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওমান সালতানাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত; ফ্রান্সে ভারতের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর; চীনের গুয়াংজুতে ভারতের কনসাল জেনারেল এবং বিদেশে ভারতীয় মিশন ও নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত পান্ডের সঙ্গে ঢাকায় রয়েছেন তার স্ত্রী সুষমা পান্ডে। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।