বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। জেলেরা আবার মাছ ধরা শুরু করতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরার জন্য মৎসজীবীরা এখন জাল ও নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।
সরকার ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের জন্য দেশের সমুদ্রে সব ধরণের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা বুধবার মধ্যরাতে শেষ হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফেব্রুয়ারিতে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ বছর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আগের ৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৮ দিনের দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ও অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিকভাবে সব ধরণের মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি এবং অন্যান্য ক্রাস্টেসিয়ান মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বহু বছর ধরে চলমান ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের রেকর্ড ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের কারণে ওই দেশগুলোর জেলেরা বাংলাদেশের মাছ আহরণের সুযোগ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন ও মৎসজীবীরা নিষেধাজ্ঞার সময়কালে আরও সমন্বিত পদ্ধতির দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য অংশীদারদের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটি ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এই সময়টি বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছের প্রজননের সময়।