বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় জানানো হয়, ২১ মে শবে-ই-কদরের ছুটি, ২২-২৩ মে এবং ২৯-৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ এবং ২৬ মে ঈদুল ফিতরের ছুটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এই সময়ে জনগণের চলাচল এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলা ও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যানবাহন চলাচলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘কেনা বেচার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরে দোকানগুলো খোলা থাকার অনুমতি দেয়া হবে।’
বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাগুলোতে নিযুক্ত যানবাহন এবং শ্রমিক ছুটির বাইরে থাকবে। এছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহন ও পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে যথারীতি চলাচল করতে দেয়া হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়, যারা কৃষি পণ্য, কীটনাশক, খাবার, শিল্পজাত পণ্য, কাঁচাবাজার এবং ফার্মাসিসের প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত আছেন তারা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী পরিবহনের যানবাহন এবং মিডিয়াকর্মীরা সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগের মতো বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।
এতে জনগণকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকতে এবং রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিংয়ের সময় সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরকার কর্তৃক জারি করা ১৩টি নির্দেশনা অনুসরণ এবং ঈদের ছুটিতে স্থান ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সকল আন্তঃজেলা পরিবহন ছুটির দিনে স্থগিত থাকবে।
ঈদের জামাতের ক্ষেত্রে সবাইকে বড় জামাত এড়িয়ে চলা এবং মসজিদে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে সেটি কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে