পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি আপিল খারিজ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সর্দার মোহাম্মদ রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আউসাফুর রহমান এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, তাদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের বিরুদ্ধে করা দুটি আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনে আছে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। কিন্তু তারা ৭৭ দিন বিলম্ব করে আপিল দুটি করেছেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে অনেক দেরিতে এসে হাইকোর্টে আপিল করেন একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির আগাম জামিন আপিলেও বহাল
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলা দুটিতে একেএমএ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, একেএমএ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে।