পিরোজপুর
কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলতে হলো সেতু
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেটিকে ভেঙে ফেলতে হয়েছে।
নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের মাদ্রা বাজার সড়কের ওপর নির্মাণাধীন সেতুটি মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করেই ধসে পড়ে। এরপর গতকাল (বুধবার) সেটিকে ভেঙে ফেলছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিষ্টানপাড়া থেকে মাদ্রা বাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। এই কাজের চূক্তিমূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজে কাজ না করে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিল। কাজের নিম্নমান এবং সময়সূচি না মেনে কাজ করার কারণে স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমানীনগরে সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদার উধাও
পরবর্তীতে আরেক সাব-কন্ট্রাক্টর গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ফাটল দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গেল সোমবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশের অপসারণ শুরু করে।
ব্রিজে ফাটল ধরার বিষয় জানতে চাইলে সাব-কন্ট্রাক্টর পিরোজপুরের খোকন মিয়া জানান, ঢালাই দিয়ে তারা চলে যাওয়ার পরে কে বা কারা সেন্টারিং খুলে ফেলায় ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম জানান, পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করতে হবে। তবে মূল ঠিকাদারকে পাওয়া না যাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৩৩ দিন আগে
পিরোজপুরে মাদক মামলায় ২ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার নাজমুল আহসান খসরু তালুকদারের ছেলে আরাফাত আল আহসান ওরফে রিয়াদ তালুকদার (৫২) এবং ইকবাল মল্লিক (৪৫) জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষিপুরা এলাকার রুস্তুম মল্লিকের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর জেলার ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভান্ডারিয়া শহরের রির্জাভ পুকুর এলাকা থেকে ৩২৯ ইয়াবাসহ আসামিদের আটক করে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, মাসুরা টুনিকে কারাদণ্ড-জরিমানা
পরে ভান্ডারিয়া থানার এসআই নুর আমিন বাদী হয়ে আট জনকে আসামি করে থানায় একটি মাদক মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ভান্ডারিয়া থানার এসআই খন্দকার মো. কামরুল ইসলাম আদালতে ৮৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে ৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আরাফাত আল আহসান ওরফে রিয়াদ তালুকদার ও ইকবাল মল্লিকে ১০ বছর করে সাজা দেন। বাকি ছয় আসামিকে বেকুসর খালাস দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পালতক ছিলেন।
২১০ দিন আগে
পিরোজপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যা
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাদল খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার (৫ মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের খান বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত বাদল খান (৪৫) ওই ইউনিয়নের ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা।
নিহতরা হলেন— বাদলের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩২)ও শ্বাশুরি বিলকিস বেগম(৫০)।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা, ভাইয়ের পা বিচ্ছিন্ন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদল ১০দিন আগে চতুর্থ বিয়ে করেন চম্পা বেগমকে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান রয়েছে। সোমবার রাতে বাদল ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী চম্পা ও শাশুড়ি বিলকিসকে হত্যা করে। এ সময় তার আগের স্ত্রীর শিশু ছেলে ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। হত্যাকাণ্ডের পর বাদল ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পারিবারিক কলহের কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত বাদল খানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২১৩ দিন আগে
১১০১ কোটি টাকা দুর্নীতি: পিরোজপুর ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার
পিরোজপুর এলজিইডি’র এক হাজার ১০১ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু
জানা গেছে, গেল ১৫ এপ্রিল পিরোজপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্য থেকে বুধবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস।
এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি।
সবশেষে দুদক বিষয়টি তদন্ত করে। পরে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই সীমাহীন এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
২৩১ দিন আগে
পিরোজপুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা, ভাইয়ের পা বিচ্ছিন্ন
পিরোজপুরে জমিজমা ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবু সালেহ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষের অস্ত্রের কোপে নিহতের ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেলের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আবু সালেহ ও রুবেল পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। আহত রুবেলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আবু সালেহের বোন আফসানা মিমি বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম সুমন, রুম্মান, নজরুল ইসলাম বাবুল চৌকিদার, নান্না, লিটন, মিরাজ, সবুজ, মাসুম শরিফসহ অনুমান ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে ভাই আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবশে করে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে বড় ভাই আবু সালেহ, তার স্ত্রী মোসা. সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে সন্ত্রাসীরা আবু সালেহকেও কুপিয়ে জখম করে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রাখে।’
নিহত আবু সালেহর স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম, রাতে আমার দেবর রুবেলের চিৎকার শুনে আমার স্বামী ও আমি ঘরে থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি, সুমন ও আরও লোকজনে রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরে ঢুকে ১ লাখ টাকা ও ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের বিভিন্ন অলঙ্কার নিয়ে যায়।’
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ ও রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে আবু সালেহর মৃত্যু হয়।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার বলেন, ‘এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রেক্সোনাকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’
২৫৪ দিন আগে
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মিজান নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ছালাম হাওলাদার, মো. আলমগীর, আব্দুল মালেক, মো. ফিরোজ মোল্লা ও আইউব আলী। মিজান ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের সময় আদালতে দুইজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছেন। বিচারক এই মামলায় অন্য ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ‘২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের কাপালির হাট বাজারে মামলার বাদী মো. রাকিবুল ইসলামের সাইকেলে পার্সের দোকানে ডাকাতি করে। এসময় তিনি দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেয়ে চিৎকার দিলে আসামিরা সে সময় পালিয়ে যেতে থাকে ও যাবার সময় কয়েক রাউন্ড গুলি করে। সেই গুলিতে স্থানীয় মিজান নামের এক ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে স্থানীয়রা মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে সেখানে মিজান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে এ ঘটনায় দোকানদার রাকিবুল বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করে।
পরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মামলাটি তদন্ত করে ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘদিন পর এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
২৬২ দিন আগে
আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশ সদ্যকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন— ইন্দুরকানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মো. আল মামুন ও মো. রেজাউল করিম।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বুধবার (২৬ ফ্রেবুয়ারি) রাতে তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার বিকালে বিস্ফোরক মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খানকে আটকের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদের ক্লোজ করা হয়েছে।’
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২৮০ দিন আগে
পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ ৪ ডাক্তার ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসাসামগ্রী) গরমিলে সত্যতা পাওয়ায় চার চিকিৎসক, স্টোরকিপার ও চার সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করেছেন বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ। শনিবার দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ড. আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার আসামিরা হলেন— হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনি) ও সার্ভে কমিটির সভাপতি ডা. ফরাহানা রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা, হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. আলামীন গাজী এবং ওষুধ সরবরাহকারী এস এম সামসুল আরেফীন (নাজিরপুর), মো. হানিফুল ইসলাম (ঢাকা), মো. জহিরুল ইসলাম (মাগুরা) ও মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ (মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওষুধ ও এমএসআর সরবরাহকারী চারটি প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওষুধ ও এমএসআর সরবারাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত চারটি প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী সরবরাহ হয়েছে মর্মে সভাপতিসহ দুই সদস্যকে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার ওষুধ ও সামগ্রী বুঝে নিয়ে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করে হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। কিন্তু দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের স্টক রেজিস্ট্রার ও ওষুধ এবং এমএসআর সামগ্রীর বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করা হয়। নিরীক্ষাকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লিখিত ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী স্টক রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা স্টোরে পাওয়া যায়নি। গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের অভিযানে এ তথ্যপ্রাপ্তির পর গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই ঘাটতি পূরণের জন্য আসামিরা তা সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলকভাবে একটি ট্রাকে ওষুধ এনে তা স্টোরে মজুতের অপচেষ্টা করেন। সে সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ট্রাকটি জব্দ করে দুদক।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরে এসব অপরাধের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে। এছাড়া পরবর্তী তদন্তে এজাহারে বর্ণিত অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা.মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। তবে এ বিষয়ে তদন্ত হলে আসল বিষয়টি উঠে আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
২৮৫ দিন আগে
পিরোজপুরে পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাই, আটক ১
পিরোজপুরের নাজিরপুরে পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের সময় সাইফুল ইসলাম চাঁন নামের এক ভুয়া পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার বুইচাকাঠী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করা হয়।
আটক সাইফুল ইসলাম চাঁন (৩৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পূর্ব জুজখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
স্থানীয়রা জানায়, আটক সাইফুল অনলাইনে এ্যাপাচি ফোরভি নামে একটি মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে বরিশালের নতুন বাজার এলাকার প্রশান্ত দাস নামে একজন মোটরসাইকেলটি কিনতে পিরোজপুর-নাজিরপুর- গোপালগঞ্জ সড়কের টেক্সটাইল এলাকায় আসে। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম তাকে বুইচাকাঠী এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সাইফুল ইসলামসহ তিনজন মিলে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রশান্ত দাসের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে প্রশান্ত দাস বুঝতে পেরে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা সাইফুল ইসলামকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বাকি তিনজন পালিয়ে যায়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বলেন, সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পুলিশের জ্যাকেট ও একটি পিস্তলের খাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২৮৬ দিন আগে
পিরোজপুরে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত
পিরোজপুরে ইমাদ পরিবহন নামের একটি বাসের চাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় ভ্যানচালক আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর-মাটিভাঙ্গা সড়কের রুহিতলাবুনিয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন— পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের মাহাবুব মোল্লা ও তার ছেলে ইয়াদ আলী মোল্লা। আহত ভ্যানচালক মইন শেখ উপজেলার হুগলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটিকে চাপা দিলে তিনজন গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে কিশোর নিহত
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
২৯০ দিন আগে