তিনি শনিবার শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র সেতু সংলগ্ন স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নদী খননের মধ্য দিয়ে সারা দেশে নৌবাণিজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূর এবং কৃষি নির্ভর কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নৌবাণিজ্যের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন সহজ হবে।
‘করোনা মহামারি দেশকে পিছিয়ে রাখতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১ বিলিয়ন হয়েছে। দেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। নদী খননের কারণে যদি জনগণের কোনো ক্ষতি হয় সরকার তার পাশে থাকবে। তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সবগুলো নদী খনন করে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ২২৭ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী খননের মাধ্যমে অত্র এলাকায় বিশেষ করে জামালপুর ও শেরপুর জেলার সাথে নৌপথে বিভিন্ন জেলাসহ প্রতিবেশী দেশের নৌবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ।
উল্লেখ্য, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশে ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ অক্টোবরে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে।