নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ সভা করছি, এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে, যা দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক দেশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক পৈশাচিক নৃশংসতা একে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।’
রবিবার (২৮ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএডিপি ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন জেনেছি বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। তখন দারিদ্র্য বুঝিনি। তবে এখন দারিদ্র্য জয় করেছি। ভিক্ষার ঝুলি বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার কথা শুনতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যকে জয় করেছি। এ বিজয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এখন গর্ব করে আমাদের সক্ষমতার কথা বলছি। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সমুদ্র, নদী- সবখানে সক্ষমতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রত্বের সময়টা তারুণ্যে ভরপুর, বাধা না মানার সময় এটা। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে, এতে বাহবা দেওয়া উচিত।’
‘সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা যখন সমঝোতার পর্যায়ে, তখন হঠাৎ করে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে গেল, আতঙ্ক শুরু হলো। যেমন ২০০১-০৬ সালে এমপি, কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিরোধিদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, দেশের আইন অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের সহিংসতার রূপও একই ধরনের।’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-শিক্ষার্থী সমঝোতা চলছে, স্বস্থির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে অতর্কিত হামলা হলো। প্রথম দিনে ছাত্ররা আন্দোলনে ছিল। পরে তারা আন্দোলনের অংশ হয়নি- ছাত্ররাই বলেছে। দেখলাম, নোবেল লরেট স্বনামধন্য ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্তির জন্য আহ্বানও জানালেন না। অথচ রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দেওয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য জায়গায় আহ্বান জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মূলভিত্তি। এটাকে বাদ দিয়ে চলতে পারি না। অপরাধীকে অপরাধী বলা কি অন্যায়? অপরাধীদের চিহ্নিত করব না! ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন সেটাকে মাটিতে নামিয়ে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্যারামাউন্ট লিডার। তার মতো নেতৃত্বের গুণাবলী এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো মানুষের নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন। এ অবলম্বনটাকে ভেঙে দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য ছিল। তাকে নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা লক্ষ্যের খুবই কাছাকাছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করতে হবে। আমাদের কাজগুলো আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করব সেটিই লক্ষ্য হোক।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছয় হাজার ৮৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর সবকিছু হারিয়ে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে (স্বাধীন বাংলাদেশকে) রাষ্ট্রমর্যাদা, শাসনব্যবস্থা দিয়েছেন। দারিদ্রপীড়িত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে ৯ ভাগ অগ্রগতি ছিল। লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা হয়েছে। এরপর কি পেলাম? ৭৫ পরবর্তী সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙ্গে ফেলেছিল। ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। ১৫ আগস্টের পর বুড়িগঙ্গাসহ নদ-নদী খাল-বিল সবকিছু দূষিত করা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এর পর নদ নদী নিয়ে কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান কথা বলেনি। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণমুক্ত রাখার কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে নদী তীরের অবৈধ দখল মুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কোভিডের কারণে এগিয়ে যেতে পারিনি।
তিনি বলেন, ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করছি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। ‘সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪’ পালিত হচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’।
৬ মাস আগে
বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কেন উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারবে না? বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে।
বুধবার ঢাকায় বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আজকে বিআইডব্লিউটিসির অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটিকে শপথ নিতে হবে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট ছিলেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যায়, আর আলোর মুখ দেখেনি।
বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এ কে এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেলুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
চেলসির কোচ হচ্ছেন মারেসকা, নাপোলিতে কন্তে
৬ মাস আগে
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই। স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদিআরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সঙ্গে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। শুধু আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোনো বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেব। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু করতে চাই।
আরও পড়ুন: দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টেনিস খেলার এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা খেলোয়াড় তৈরি করবে। যাতে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে।
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল ৭১-এ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। সরকার বয়সভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছে। সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহকে ফুটবলের মতো উন্মাদনার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালোবাসা আছে তাদের আগামীতে নির্বাচিত করা হবে।
তিনি বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহির জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়।
শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের আধুনিকায়ন তরায় এসময় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আরও বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহির জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।
আরও পড়ুন: দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য সম্প্রসারণে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
৭ মাস আগে
দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
একইসঙ্গে যাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৮ মাস আগে
বাণিজ্য সম্প্রসারণে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর থেকে কীভাবে সরাসরি বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারি।
শনিবার নেপালের স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও স্থলপথে বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে নেপালের 'কাকরভিটা স্থলবন্দর' পরিদর্শন করেন। কাকরভিটা থেকে ভদ্রাপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন। কাকরভিটা স্থলবন্দর বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ড ভারতের অংশ। ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কীভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন রোমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল পঞ্চগড় জেলার 'বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর' দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংএর গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা 'পাসাখা স্থলবন্দর' পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টসিলিঙ সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
৮ মাস আগে
নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কি না, এগুলো ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র টোটাল ডেভেলপমেন্ট ও চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর(ডিপেন্ড) করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ (ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক) হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথে সবাই হাঁটবে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনার, আমার সবার। ৭৫- এর পর বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৭৫- এর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাল ধরেছে। একাত্তরের আগে দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু সবার ছিলেন।
তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সে সাপোর্টটি হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি কীভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শকে ধারণ করে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু সম্ভাব্যতা যাচাই করে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালের’ বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবু সফল হওয়া কোনো বিষয় না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারা একটু সিরিয়াস হলে এটি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আরও বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলব। এখানে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। অ্যাডজাস্ট করতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্ট ইজি করে দিতে হবে। সবার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ কন্টেইনার অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়, বরং প্রতিটি মানুষের। এছাড়া নদীতে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর হাইট নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদেরকে বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাসিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম ২০১০ সালে নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে একটি বিধিমালা জারি করা হয়।
তিনি বলেন, প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? নদীকে খাল, খালের উপর কালভার্ট দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখন কালভার্টের নিচে নালাও নাই। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছর থেকে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না, এটা ভালো দিক।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ঢাকার চারপাশে রেল, রোড ও নৌপথে যোগাযোগের কথা বলেছেন। যোগাযোগকে মাল্টিমোডাল করতে হবে। রেল, রোড ও নৌপথ যাতে থাকে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রথমে রেল সংযোগের বিষয় ছিল না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে রেললাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মানুষের শিরায় শিরায় রক্তপ্রবাহ না থাকলে মানুষ মারা যায়, তেমনি নদীর নাব্যতা না থাকলে নদী মরে যাবে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযান মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে। মানুষ এখন নদীতে ময়লা ফেলার আগে ডান-বামে তাকায়। এটি সফলতা। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে ১৯৬৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা দুইটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এই সমীক্ষার কাজ করেছে। এর ফলে প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে বিধিমালা (সংশোধিত) তৈরি করবে। সে বিধিমালায় যাতে কোন স্ট্রাগল তৈরি না হয়, সেটি হবে সবার জন্য ফলপ্রসূ এবং সবার জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে