খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কি না, এগুলো ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র টোটাল ডেভেলপমেন্ট ও চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর(ডিপেন্ড) করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ (ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক) হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথে সবাই হাঁটবে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনার, আমার সবার। ৭৫- এর পর বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৭৫- এর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাল ধরেছে। একাত্তরের আগে দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু সবার ছিলেন।
তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সে সাপোর্টটি হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি কীভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শকে ধারণ করে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু সম্ভাব্যতা যাচাই করে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালের’ বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবু সফল হওয়া কোনো বিষয় না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারা একটু সিরিয়াস হলে এটি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আরও বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলব। এখানে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। অ্যাডজাস্ট করতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্ট ইজি করে দিতে হবে। সবার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ কন্টেইনার অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি না হতো তাহলে আমরা সুলতানগঞ্জে আসতে পারতাম না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে ‘সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল’ এবং ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ নৌপথে নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এরপর সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে থাকত। উন্নয়নের চাকা ৭৫ এর মতো উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিতে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অর্থবহ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডাইনামিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে।
তিনি অরও বলেন, ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সৌদিআরবসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে।
‘অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সংবাদ পাওয়া যাবে’
ভারতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুসংবাদ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তাদের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র, নদী ও স্থলবন্দরের একটা যোগাযোগ এবং সম্পর্ক পরিচালিত হয়, সেই বিষয়গুলো আরও কীভাবে সুন্দর করতে পারি, আরও বেশি সেবা দিতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন চায় ভারত, সেগুলোর সঙ্গে থাকার বিষয়ে আলাপ হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেরিন সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পায়রা বন্দর এবং মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর নিয়ে তাদের আগ্রহ আছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমরা বলেছি, পায়রায় যে অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সেখানে বড় একটা সুযোগ রয়েছে।
তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পায়রা বন্দর পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সদরঘাট ফিটফাট আছে, থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, যারা চিকিৎসা করতে যায় এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সব ফর্মালিটি শেষ হয়। আমরা বলেছি, যেহেতু নৌ-পর্যটন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে দুইটি যাত্রীবাহী ক্রুজ চলে গেছে কলকাতায়। অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে কথা বলেছি, এগুলো নিয়ে তারা কাজ করবে। এ ব্যাপারে আমরা আরও ভালো সংবাদ পাব।
ভারত ও চীনের রাষ্ট্রদূতরা সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন, এটা কি অন্য কোনো দেশকে কী কোনো মেসেজ দেওয়া- এ বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার তৈরি করার জন্য অনেকেই কথা বলেছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেটা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় ছিল তারাও কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চলে এসেছে। যে শঙ্কাটা ছিল সেটা কিন্তু নির্বাচনে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী মাতারবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী শনিবার (১১ নভেম্বর) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। মাতারবাড়ীতে নতুন করে চঞ্চলতা ফিরে আসবে। অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। মাতারবাড়ী শহর হবে। এখানে শিল্পায়ন হবে। বিপুল সংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে। আমরা গর্ব করে বলতে পারব বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর আছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ী। আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ী। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে, ভবিষ্যৎ রেল যোগাযোগ হবে।
তিনি বলেন, বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব থাকলে দেশ সংকটে পড়বে না।
আরও পড়ুন: ঢেপা-পুনর্ভবার তীরে ২৬ কি.মি. বাঁধ হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ীকে সিঙ্গাপুরের মতো করতে গেলে যা যা দরকার সবই করা হবে। এখন দেশ অন্ধকার যুগে নেই। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন।
আগামী ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ীতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের নির্মাণকাজ। দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ী টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততোধিক গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে।
বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান।
২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। আর এখন তার সন্তানরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনো কোনোদিন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ঘোষণাপত্র, ইস্তেহার ও স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটালে দেশে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সেই সময় দেশে জিয়াউর রহমান সান্ধ্যআইন জারি করেছিলেন। যার কারণে সাধারণ জনগণ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। অথচ তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলে দেশি-বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে আর মিথ্যাচার করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল ইসলাম, উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রের সুনিল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিণত করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে বলে মনে করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সীমান্তে কোনো অসুবিধা নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেও একজন সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্য। গেল ১৪ বছর ধরে আমি এই দায়িত্ব পালন করছি। আমি এমন কোনো সমস্যাবোধ করিনি।
তিনি জানান, তবে কিছু জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এগুলো আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের কোনো বিষয় না। বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের একটি ক্রুজ বাংলাদেশে আসছে। বাগেরহাট, মোংলা, চাঁদপুরসহ আমাদের বিভিন্ন জায়গায় এটি ভ্রমণ করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এসব জায়গায় কিছু সুবিধা-অসুবিধার বিষয় আাছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের পর আমাদের স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম এখন পর্যন্ত পুরোদমে শুরু হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক জায়গায় তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) আমাদের ভিসা ইস্যু করছে না। সে সব জায়গায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সুরাহায় তারা আস্তে আস্তে পদক্ষেপ নেবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আর আমাদের অনেকগুলো বন্দর এখনো চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরও রয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারিতে চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি জানান, আগামী এপ্রিল বা মে মাসে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালু করা হবে। আন্ধারমানিক নদীতে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেখানে ফেরি চলবে। হয়ত জানুয়ারিতেই আমরা রামগড়টা চালু করতে পারব।
বুধবার লালমনিরহাট সীমান্তে বিএস দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের দুদেশের সম্পর্ক খুবই মধুর। এগুলোর সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন আমাদের স্থলবন্দর অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ১.৫০ মিটারের বিষয়টিতে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে সমস্যা হয়। কিন্তু এগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হচ্ছে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এগুলো যেন না হয় সে জন্য দুদেশের সরকার কাজ করছে।
তার মতে, একটা সময় আমাদের অনেক মানুষ সীমান্ত হত্যার শিকার হতেন। এখন তো বছরে হয়ত একটা-দুটো ঘটনা ঘটছে। সেগুলো যাতে না ঘটে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে; ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এসব প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে।
শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানাসির ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে ‘পিএম গতি শক্তি মাল্টিমোডাল ওয়াটারওয়েজ সামিট-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুর্বেদ, ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানী, সিদ্ধাহ, হোমিওপ্যাথি (এ ওয়াই ইউ এস এইচ-আয়ুষ) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১-১২ নভেম্বর-২০২২ ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভারানাসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়ালের আমন্ত্রণে প্রতিমন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সাব-রিজিওনে একটি নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সে লক্ষ্যে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীন ১০টি রুট চালু রয়েছে; যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের নদীপথগুলোকে আরও কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। আমরা আমাদের সকল উৎস থেকে বেনিফিট পেতে চাই এবং সেজন্য দক্ষ ও টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে চাই।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তিনি কৃতঞ্জচিত্তে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের দেশের শরণার্থীদের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতঞ্জতা জানান। তিনি ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ ও ভারতের সৈনিকদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের বস্ত্র, বাণিজ্য, শিল্প, কনজ্মুার্স অ্যাফেয়ার্স, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রবিউশন মন্ত্রী পিযুষ গোয়াল, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ সচিব ড. সঞ্জীব রঞ্জন, ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ১২ নভেম্বর সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ: ফোকাস অন রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’- বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ইতোমধ্যে রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে এবং হবে। রবিবার রাজধানীতে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কিভাবে রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হবে’ বিষয়ক রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা এই রাউন্ড টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের ‘মাল্টিপারপাস টার্মিনাল’ চট্টগ্রাম বন্দর নিজেরা পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে সরকার দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখেছে। বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সরকার অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশের করাপটেড অর্থনীতি ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসে যাবে চিন্তা করা যায়না।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন বিষয়ে সরকার নজরদারি রাখছে। ডে বাই ডে সেগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও ইয়ার্ড এর পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দায়িত্ব বিজনেসম্যানদের জন্য পথ তৈরি করা। বিজনেসম্যানরা সে পথ ধরে এগিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে ঝুঁকি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারিরা মেরিটাইম সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন চট্টগ্রাম বন্দর প্রাতিষ্ঠানিক বন্দর হিসেবে ১৩৪ বছর অতিক্রম করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর মাস্টারপ্লান নিয়ে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। অনেক সমস্যার কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো একদিনের সমস্যা না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি- সেটি বড় বিষয়। কাস্টমসের জবাবদিহিতা নাই; একথাটি ঠিক নয়। ডে বাই ডে আপগ্রেড করছি। সবকিছু অটোমেশন ও ডিজিটাল করা হচ্ছে। ডিজিটাল শব্দটি আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়ে এসেছে। পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে আমরা যুক্ত আছি। বিদেশি বিনিয়োগকে ভয় পেলে হবেনা। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে এলে দেশের স্বার্থকে আগে দেখা হবে। কোন ক্ষতি হবেনা।
তিনি বলেন, আমরা ইস্ট-ওয়েস্টের মাঝখানে আছি। কক্সবাজার এয়ারপোর্ট রিজিওনাল হাব-এ পরিণত হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এমনিই রিজিওনাল হাব হয়ে যাবে। অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ তিনটি বন্দর আছে। লজিস্টিক্স বিষয়ে কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো দূর করছি। সেজন্য অনেক ডেভেলাপমেন্টের প্রয়োজন। এজন্য বিদেশিদের সাথে কথা বলছি। কারিগরি ও দক্ষ লোকের অভাব দূর করতে কাজ করা হচ্ছে। কাস্টম্সকে দক্ষ করা হচ্ছে। একটি বিরাট শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানার বসাতে দেয় না। বসালেও কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যায়। এ মানসিকতা চ্যাঞ্জ করতে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কবিরুল আলম সুজন মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সম্পাদক ইনাম আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের পরিচালক ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার, সিকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ খান মাহমুদ তিতুমীর, এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, সিসিসিআই’র পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস এবং সিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌচলাচল নিশ্চিতে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী