খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ সভা করছি, এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে, যা দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক দেশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক পৈশাচিক নৃশংসতা একে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।’
রবিবার (২৮ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএডিপি ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন জেনেছি বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। তখন দারিদ্র্য বুঝিনি। তবে এখন দারিদ্র্য জয় করেছি। ভিক্ষার ঝুলি বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার কথা শুনতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যকে জয় করেছি। এ বিজয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এখন গর্ব করে আমাদের সক্ষমতার কথা বলছি। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সমুদ্র, নদী- সবখানে সক্ষমতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রত্বের সময়টা তারুণ্যে ভরপুর, বাধা না মানার সময় এটা। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে, এতে বাহবা দেওয়া উচিত।’
‘সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা যখন সমঝোতার পর্যায়ে, তখন হঠাৎ করে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে গেল, আতঙ্ক শুরু হলো। যেমন ২০০১-০৬ সালে এমপি, কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিরোধিদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, দেশের আইন অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের সহিংসতার রূপও একই ধরনের।’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-শিক্ষার্থী সমঝোতা চলছে, স্বস্থির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে অতর্কিত হামলা হলো। প্রথম দিনে ছাত্ররা আন্দোলনে ছিল। পরে তারা আন্দোলনের অংশ হয়নি- ছাত্ররাই বলেছে। দেখলাম, নোবেল লরেট স্বনামধন্য ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্তির জন্য আহ্বানও জানালেন না। অথচ রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দেওয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য জায়গায় আহ্বান জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মূলভিত্তি। এটাকে বাদ দিয়ে চলতে পারি না। অপরাধীকে অপরাধী বলা কি অন্যায়? অপরাধীদের চিহ্নিত করব না! ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন সেটাকে মাটিতে নামিয়ে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্যারামাউন্ট লিডার। তার মতো নেতৃত্বের গুণাবলী এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো মানুষের নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন। এ অবলম্বনটাকে ভেঙে দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য ছিল। তাকে নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা লক্ষ্যের খুবই কাছাকাছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করতে হবে। আমাদের কাজগুলো আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করব সেটিই লক্ষ্য হোক।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছয় হাজার ৮৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশের সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলায় ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্দরের সেবা কার্যক্রম কাগজহীন করতে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে।
প্রায় ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে। 'হিরো' পোর্ট হয়ে যাবে। বন্দরটি যেন কোনো সংকটে না পড়ে সেজন্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের (জিএটিএফ) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসাবান্ধব করে তুলতে ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আপডেট করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় সড়ক, রেল, আকাশ, নৌপথে সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দরকে লাভজনক করা হয়েছে। পায়রা বন্দর করা হয়েছে। মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর করা হচ্ছে। এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় 'সি' ক্যাটাগরিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।’
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাংসহ আরও অনেকে।
৪ মাস আগে
১০ বছরে ২৬ হাজার ১৮১টি নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২০১৪-২৪ সালের মধ্যে নদীর তীর থেকে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এছাড়া এসময়ে ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদী তীরবর্তী দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিএ নদী তীরগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিলোমিটার। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও মিরকাদিমে চারটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর রয়েছে যেগুলো অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী পরিবহনের জন্য এসব অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্ত্রী বলেন, নদী পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। নদী পুনরুদ্ধারের জন্য সকল অংশীদারদের নিয়ে একটি আমব্রেলা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউআইপি) প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংক।
এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হবে এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং করা হয়।
৪ মাস আগে
বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কেন উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারবে না? বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে।
বুধবার ঢাকায় বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আজকে বিআইডব্লিউটিসির অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটিকে শপথ নিতে হবে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট ছিলেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যায়, আর আলোর মুখ দেখেনি।
বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এ কে এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেলুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
চেলসির কোচ হচ্ছেন মারেসকা, নাপোলিতে কন্তে
৫ মাস আগে
নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কি না, এগুলো ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র টোটাল ডেভেলপমেন্ট ও চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর(ডিপেন্ড) করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ (ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক) হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথে সবাই হাঁটবে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনার, আমার সবার। ৭৫- এর পর বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৭৫- এর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাল ধরেছে। একাত্তরের আগে দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু সবার ছিলেন।
তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সে সাপোর্টটি হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি কীভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শকে ধারণ করে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে যাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু সম্ভাব্যতা যাচাই করে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালের’ বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবু সফল হওয়া কোনো বিষয় না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারা একটু সিরিয়াস হলে এটি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আরও বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলব। এখানে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। অ্যাডজাস্ট করতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্ট ইজি করে দিতে হবে। সবার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ কন্টেইনার অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি না হতো তাহলে আমরা সুলতানগঞ্জে আসতে পারতাম না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে ‘সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল’ এবং ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ নৌপথে নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এরপর সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে থাকত। উন্নয়নের চাকা ৭৫ এর মতো উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিতে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অর্থবহ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডাইনামিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে।
তিনি অরও বলেন, ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সৌদিআরবসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে।
৯ মাস আগে
‘অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সংবাদ পাওয়া যাবে’
ভারতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুসংবাদ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তাদের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র, নদী ও স্থলবন্দরের একটা যোগাযোগ এবং সম্পর্ক পরিচালিত হয়, সেই বিষয়গুলো আরও কীভাবে সুন্দর করতে পারি, আরও বেশি সেবা দিতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন চায় ভারত, সেগুলোর সঙ্গে থাকার বিষয়ে আলাপ হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেরিন সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পায়রা বন্দর এবং মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর নিয়ে তাদের আগ্রহ আছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমরা বলেছি, পায়রায় যে অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সেখানে বড় একটা সুযোগ রয়েছে।
তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পায়রা বন্দর পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সদরঘাট ফিটফাট আছে, থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, যারা চিকিৎসা করতে যায় এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সব ফর্মালিটি শেষ হয়। আমরা বলেছি, যেহেতু নৌ-পর্যটন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে দুইটি যাত্রীবাহী ক্রুজ চলে গেছে কলকাতায়। অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে কথা বলেছি, এগুলো নিয়ে তারা কাজ করবে। এ ব্যাপারে আমরা আরও ভালো সংবাদ পাব।
ভারত ও চীনের রাষ্ট্রদূতরা সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন, এটা কি অন্য কোনো দেশকে কী কোনো মেসেজ দেওয়া- এ বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার তৈরি করার জন্য অনেকেই কথা বলেছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেটা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় ছিল তারাও কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চলে এসেছে। যে শঙ্কাটা ছিল সেটা কিন্তু নির্বাচনে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী মাতারবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী শনিবার (১১ নভেম্বর) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। মাতারবাড়ীতে নতুন করে চঞ্চলতা ফিরে আসবে। অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। মাতারবাড়ী শহর হবে। এখানে শিল্পায়ন হবে। বিপুল সংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে। আমরা গর্ব করে বলতে পারব বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর আছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ী। আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ী। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে, ভবিষ্যৎ রেল যোগাযোগ হবে।
তিনি বলেন, বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব থাকলে দেশ সংকটে পড়বে না।
আরও পড়ুন: ঢেপা-পুনর্ভবার তীরে ২৬ কি.মি. বাঁধ হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ীকে সিঙ্গাপুরের মতো করতে গেলে যা যা দরকার সবই করা হবে। এখন দেশ অন্ধকার যুগে নেই। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন।
আগামী ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ীতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের নির্মাণকাজ। দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ী টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততোধিক গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে।
বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান।
২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে