জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের পদত্যাগ পত্রের অনুমোদনের পর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুল মোমেন। গতকাল সোমবার তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয় এবং তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, আবদুল মোমেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাবেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি তাকে এ পদে নিয়োগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ও আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। আজ অথবা আগামীকালের মধ্যেই তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আবদুল মোমেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়ার) সহকারী একান্ত সচিব ও পরিচালক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক, কক্সবাজার জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিমানের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুগ্মসচিব থাকার সময় ২০০৯ সালে আবদুল মোমেনকে ওএসডি করে আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০১৩ সালের ৬ জুন তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট আবদুল মোমেনকে দুই বছরের চুক্তিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নতুন ৮ ডিসির নিয়োগ বাতিল