সিলেটে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
আব্দুস সালাম নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এ ঘটনার পর রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জরুরি সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় সিলেট নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক মো. মোমিনুল হক বলেন, সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার সালামকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মামলায় আব্দুস সালামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী নগরীর লালাদিঘির পাড় এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল মনাফ, ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম এবং আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ভিকটিম অভিযোগ দাখিলের দিনই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন সে তার পরিবারের কাছে রয়েছে।’