গত শনি ও আজ (সোমবার) শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বরাবর সিলেট সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল স্বাক্ষরিত দুটি পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব পুনরায় সচল হওয়ার আগ পর্যন্ত বিদেশগামী যাত্রীদের এই সেবা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে ল্যাবসূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি–পিসিআর যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়ায় সেটি বন্ধ রাখা হয়। এতে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা ব্যাহত হয়। ইতোমধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৯৪ জন ও ৫ ডিসেম্বর ১৫২ জন বিদেশগামী যাত্রীর শাবির ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও ১৭৪জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে বলে ল্যাবসূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে এই বিদেশগামী যাত্রীদের ছাড়াও সিলেট বিভাগের চার জেলা ও সিলেট শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও সবকটি উপজেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা শাবিপ্রবির ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। শাবির এই ল্যাবটিতে ২৫ জনের একটি দল প্রতিদিন কাজ করছে। এছাড়াও ল্যাবের সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নিজেদের লোকেরাই এই ল্যাবটিতে কাজ করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি–পিসিআর যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেটি বন্ধ রাখা হয়। এতে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করতে আসা বিদেশগামী যাত্রীদের ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় বিদেশগামী যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে করোনা পরীক্ষার জন্য বিকল্প উপায় বের করা হয়।
শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বলেন, শাবিপ্রবির জিইবি বিভাগ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষার আরটি–পিসিআর যন্ত্র বিকল হওয়ায় বিদেশগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধক্রমে আমাদের গবেষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও তত্ত্ববধানে করোনা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবি সিলেটবাসী ও দেশের মানুষের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই জরুরি ভিত্তিতে করোনা ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করেছে। সেবা প্রদান করাই এর মূল উদ্দেশ্য। ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর মেশিনটি বিকল হওয়ার সিলেট থেকে বিদেশগামীরা বিপদে পড়েছে। সরকারের অনুরোধে এবং বিদেশগামী ভাই-বোনদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে শাবিপ্রবি। যতদিন না ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেশিন ঠিক হবে ততদিন আমাদের রুটিন পরীক্ষার পাশাপাশি সিলেট বিভাগের সকল বিদেশগামীদের করোনার টেস্ট আমরা অব্যাহত রাখব।