সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে পানিতে ডুবে মেহেদী হাসান ইমন (১৬) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন সিলেট নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের লালাদিঘীর পাড় এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ইমন তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে সাদাপাথরে গোসল করতে নেমেছিল। এসময় পানির প্রবল স্রোতে সে তলিয়ে যায়। পরে সেখানে উপস্থিত তার সঙ্গীসহ আরও কয়েকজন খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ইমনকে উদ্ধারকারী জাহাঙ্গীর আহমদ ও শিপন বলেন, আমরা সাঁতার কাটছিলাম। এসময় দেখি ৭ তেকে ৮ জনের একটি দল সাঁতার কেটে মধ্যখানে চলে যায়। তাদের মধ্যে একটি ছেলে পানিতে তলিয়ে যায়। প্রথমে নৌকা দিয়ে খুঁজি। কিন্তু পাওয়া যায়নি। পরে সবাই মিলে ডুব দিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এদিকে, এই ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুনন্নাহার।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের গ্রাম পুলিশের লোকজন বার বার মাইকিং করে সতর্ক করছে যারা সাঁতার না জানেন তারা পানিতে ঝাপ না দেয়ার জন্য। কিন্ত যে পর্যটক মারা গেছে জানতে পেরেছি সে সাঁতার জানতো না এবং ঝাপ না দিতে এখানকার দায়িত্বরত বিজিবি তাকে না করেছিলেন। সে কথা শুনেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, সাদাপাথর পিকনিক স্পটে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসে মেহেদী হাসান ইমন। তারা সেখানে পানিতে গোসল করতে নামলে স্রোতে ভেসে যায় ইমন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মেহেদী হাসান ইমন সাঁতার জানতো না।