জসিম উদ্দিন নামে একজন সৌদি প্রবাসী জানান, তিনি গত রবিবার টোকেন সংগ্রহ করেছিলেন এবং আগামী শনিবার তার টিকিট বুঝে পাবেন।
টোকেনের সিরিয়াল নম্বর অনুসারে সৌদি এয়ারলাইন্স প্রতিদিন ৫০০টি টিকিট দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের বাইরেও এমন নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ বিরতির পর টিকিট দেয়া শুরু হওয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সৌদি এয়ারলাইন্সের সামনে সৌদি আরবগামীদের লম্বা ভিড় প্রত্যক্ষ করা গেছে।
অপরদিকে, আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটের টিকিট দেয়া শরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তাদের মতিঝিলস্থ অফিস থেকে এসব টিকিট দেয়া হচ্ছে। সেখানেও প্রবাসীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভিসা এবং আকামা (কাজের অনুমতি) সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ায় খুব শিগগিরই আটকা পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থল সৌদি আরবে ফিরে যেতে পারবেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ইউএনবিকে ফোনে বলেন, সৌদি সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অবতরণের অনুমতি দিয়েছে যা সুষ্ঠুভাবে বাংলাদেশিদের সৌদি যেতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সরকারও সৌদির সকল এয়ারলাইন্সকে অবতরণের এবং বাংলাদেশিদের সৌদিতে ফেরত নেয়ার অনুমতি দিয়েছে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, যারা তাদের কর্মস্থলে ফিরতে চান, সৌদি সরকার তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।‘কয়েকজনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, এমন না যে সবার ভিসার মেয়াদ শেষ।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের আকামা আরও ২৪ দিন বৈধ থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। তবে ‘দূতাবাস আকামা দেয় না। নিয়োগকর্তা দেয়,’ বলেন ড. মোমেন।