বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
পরিবহন পরিষেবায় অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৫: ঘরে বসে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট কাটার উপায়
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনে সিট বুকিং-এর জন্য এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনা নেই। স্থল, রেল কিংবা আকাশপথ যে কোনও ভাবে যাতায়াতের জন্য কাঙ্ক্ষিত টিকেটটি ঘরে বসেই কিনে নেওয়া যাচ্ছে। চলুন, বাস, ট্রেন, ও প্লেনের টিকেট ক্রয়ের জন্য সেরা ১০টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাস, ট্রেন, ও প্লেনের সিট বুকিং-এর জন্য শীর্ষ ১০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
.
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস (Bangladesh Railway)
২০১২ সালের ২৯ মে সরকারি ভাবে চালু হয় অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। তারপর থেকে বিগত এক যুগে অনেকটা পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিটাল টিকেট পদ্ধতি।
তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে ট্রেনে সিট বুকিং দেওয়া যায়। এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সাইটটিতে নিবন্ধন করা। এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার দিতে হয়। এরপরের কাজ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ, ট্রেনের শ্রেণী নির্বাচন। এখানে বিদ্যমান সিটের ভিত্তিতে প্রদর্শিত সিটের তালিকা থেকে এক বা একাধিক সিট বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
সবশেষে পেমেন্টের পদ্ধতিতে রয়েছে ক্রেডিট/ডেবিট বা বিকাশের মতো জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়েগুলো। পেমেন্ট শেষে প্রাপ্ত ই-টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছতে হয়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: eticket.railway.gov.bd
Bangladesh Railway–এর নিজস্ব অ্যাপ ‘রেল সেবা’ রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য।আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rail-sheba/id6499584782
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.dtrainpwa
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines)
রাষ্ট্রায়ত্ব এই এয়ারলাইন্সটিতে অনলাইন সিট বুকিং-এর সুবিধা যুক্ত হয় ২০১০ সালে। তাদের ওয়েবসাইট-এ যেয়ে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যায় টিকেট অর্ডার ও প্রাপ্তির কাজ। এখানে গন্তব্য, তারিখ, শ্রেণী নির্বাচন ও ইমেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বারসহ যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হয়।
তারপর ডিজিটাল ব্যাংকিং বা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম-এর মধ্যে যে কোনওটির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায় টিকেটের মূল্য। অবশেষে ই-টিকিট প্রদান করা হয় যাত্রীদের ইমেলে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.biman-airlines.com/
অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্য Biman Bangladesh Airlines-এর রয়েছে বিমান অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লে-স্টোর লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.BimanAirlines.Biman&hl=en&gl=US
অ্যাপেল অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/biman/id6444130555
আরো পড়ুন: অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
সহজ (Shohoz)
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবহন মাধ্যমগুলোর ই-টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক নির্ভরযোগ্য নাম সহজ। ট্রেনের টিকেটগুলো বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম)-এর সাথে যৌথভাবে ইস্যূ করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সহজ বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন সব পরিবহনকে একটি একক মঞ্চের আওতায় নিয়ে এসেছে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমের জন্য আলাদা ভাবে রওনা হওয়ার স্থান, গন্তব্য, ও যাত্রার তারিখ দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য অবশ্যই একটি সার্বক্ষণিক ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করা জরুরি।
মোবাইল কিংবা ব্যাঙ্ক কার্ড-এর মাধ্যমে অর্থপ্রদানের পর টিকেটের সফ্ট কপির লিঙ্ক পাওয়া যাবে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.shohoz.com/
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে স্মার্টফোন থেকেও।
গুগল প্লে-স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.rides
আইফোন অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/shohoz-app/id1354321445?ls=1
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
গোজায়ান (GoZayaan)
বাংলাদেশের অগ্রগামী ওটিএ’র (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি)-এর মধ্যে গোজায়ান অন্যতম। দেশের ভেতরের ও বাইরের এয়ার ফ্লাইট কেন্দ্রিক টিকেটিং প্ল্যাটফর্মটির পথ চলা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। ই-টিকেটের পাশাপাশি GoZayaan হোটেল, ট্যুর, এবং ভিসা সংক্রান্ত সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
এখান থেকে টিকেট অর্ডার করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট
খুলে নিতে হবে। এর অধীনে টিকেট প্রাপ্তি সহ ফ্লাইটের যাবতীয় আপডেট পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে ফ্লাইট সার্চের পাশাপাশি একাধিক ফ্লাইটের মধ্যে তুলনা করারও ফিচার রয়েছে।
ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই থাকায় সব শ্রেণীর গ্রাহকরাই অকপটেই ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://gozayaan.com/
এছাড়া আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাপও রয়েছে।
আইওএস অ্যাপ লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/gozayaan/id1635126688
অ্যান্ডয়েড অ্যাপ লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.gozayaan.app&hl=en
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
শেয়ার ট্রিপ (ShareTrip)
ট্রাভেল বুকিং বিডি নামের ছোট্ট ফেসবুক পেজটির উদ্দেশ্য ছিলো প্লেনের টিকেট বিক্রি করা। ২০১৩ সালের এই উদ্যোগের অঙ্কুরে পরের বছর জন্ম নেয় শেয়ার ট্রিপ। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ন্যাশনাল ও ইন্টার্ন্যাশনাল দুই ফ্লাইটের জন্য অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতি চালু করে।
ShareTrip-এর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপ রয়েছে। এমনকি সব প্ল্যাটফর্মই ফ্লাইটগুলোর রিয়েল-টাইম মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে। সাধারণ কর্মদিবস, সপ্তাহান্ত, ও ছুটি বিশেষে অর্থ পরিশোধের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রাহক ইমেইলের মাধ্যমে ই-টিকিট পেয়ে যান।
বুকিং-এর জন্য অবশ্যই অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। আর এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরবর্তীতে ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো রাখা যায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://sharetrip.net/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=net.sharetrip&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/sharetrip-flight-shop-voucher/id1469335892
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
ফ্লাইট এক্সপার্ট (Flight Expert)
মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানি-এর এই ট্রাভেল এজেন্সি ২০১৭ সালের ১ মার্চ নিয়ে আসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেটিং পদ্ধতি। অবশ্য এই প্রযুক্তিকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০২২-এর ৯ জুলাই। বর্তমানে দেশের প্রথম সারির ফ্লাইট বুকিং সাইটগুলোর মধ্যে Flight Expert অন্যতম।
অন্যান্য এজেন্সিগুলোর থেকে যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে রেখেছে তা হচ্ছে ‘বুক ন্যাউ (পে লেটার)’ ফিচার। এই প্রক্রিয়ায় অর্ডার নিয়ে কোনও পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য টিকেট বুক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রাহক টিকেটের অর্থ পরিশোধ করেন। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহককে পেমেন্টের রিমাইন্ডার দেওয়া হয়।
সফল ভাবে অর্থ প্রদানপূর্বক এয়ারলাইন্সের ইস্যূকৃত টিকেটের পিডিএফ ফাইল চলে যায় গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://flightexpert.com/
ওয়েবসাইট মোবাইল-বান্ধব হওয়া সত্ত্বেও এদের রয়েছে স্বতন্ত্র আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.flightexpert.b2c&hl=en
আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/ag/app/flight-expert/id6457255223
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
বিডিটিকেটস (bdtickets)
ঘরে বসে বাসের টিকেট সংগ্রহের জন্য রবি আজিয়াটার এই টিকেটিং পোর্টালটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এরা প্রধানত দেশের আন্তঃনগর বাসগুলো নিয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে bdtickets প্লেন বা লঞ্চের টিকেটও সরবরাহ করে তবে তার জন্য ১৬৪৬০ নাম্বারে ফোন দিতে হবে।
অন্যান্য টিকেটিং সাইটগুলোর মতো এদেরও রয়েছে নিবন্ধন, টিকেট অর্ডার, এবং পেমেন্ট সিস্টেম। তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকেটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে।
যাত্রার সময় পরিবর্তন বা বাতিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যায় যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://bdtickets.com/
স্মার্টফোন থেকে এই কার্য সম্পাদনের জন্য পৃথক অ্যাপও রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bluetech.bdtickets.launcher&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/bdtickets/id1552613900
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
বাইটিকেটস (Buy Tickets)
২০১৮-এর ১৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান টিকেটিং কার্যক্রম শুরু করে বাইটিকেট্স। ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর এই উদ্যোগ বর্তমানে দেশের পর্যটন সেক্টরের এক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বাস, লঞ্চ, বিমানের টিকেট বিক্রির পাশাপাশি এদের হলিডে ট্যুর প্যাকেজ ও হোটেল সেবাও রয়েছে।
উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো Buy Ticketsও গ্রাহকদের জন্য সহজ ইন্টারফেসে টিকেট কেনার সুযোগ দেয়। দেশের সমসাময়িক ওটিএগুলোর মতো এটিও এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহককে ই-টিকেট সরবরাহ করে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://buytickets.com.bd/
স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের জন্য এই পরিষেবাটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে সমর্থিত।
অ্যান্ড্রয়েড স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.buytickets.bd&hl=en
আরো পড়ুন: কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
যাত্রী (Jatri)
২০১৯-এ আত্মপ্রকাশ করা এই সাইটটির বিশেষত্ব হলো বাস ট্র্যাকিং-এর সুবিধা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য যাত্রীরা বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে তার স্ট্যান্ডে পৌঁছার সময়টি যাচাই করতে পারেন।
যাত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ উভয় মাধ্যমেই এই ফিচারটি রয়েছে। সাইটে নিবন্ধনের পর নির্ধারিত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্য পছন্দের বাসটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
মূল্য পরিশোধের জন্য Jatri-এর রয়েছে বিশেষ ডিমানি যাত্রী কার্ড। এর সাথে ডিজিটাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভিসা বা মাস্টার কার্ড যুক্ত করার সুবিধা আছে। ফলে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে যাতায়াতের ভাড়া দিতে পারে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.jatri.co/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.jatri.jatriuser&hl=en&gl=
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
পরিবহন.কম (paribahan.com)
এই সাইটটিতে দেশের বর্তমান অধিকাংশ পরিবহন পরিষেবার এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) সংযুক্তি রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে বিস্তৃত পরিসরে টিকেটিং সেবা প্রদান করতে পারে।
paribahan.com-এর আওতাভূক্ত পরিবহনগুলো হলো বাস, লঞ্চ এবং বিমান। এগুলোর যে কোনওটির টিকেট কেনার সময় যাত্রীরা নিজের পছন্দ মতো পরিবহন কোম্পানি বাছাই করতে পারেন। একই সঙ্গে দেশের প্রায় সবগুলো অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটটি।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://paribahan.com/
তবে অসুবিধার জায়গা হচ্ছে পরিবহন.কম-এর কোনও মোবাইল অ্যাপ নেই।
শেষাংশ
অনলাইনে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট ক্রয়ের এই ১০টি প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থার মানোন্নয়ন করেছে। সরকারি দিক থেকে এই বৃহৎ ভূমিকায় অবদান রাখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকেটিং ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, এবং ফ্লাইট এক্সপার্ট। এগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ, বিডিটিকেট্স, ও বাইটিকেট্স। পিছিয়ে নেই শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ পরিবহনগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকা যাত্রী এবং পরিবহন। সর্বপরি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কাগুজে টিকেট ব্যবস্থার উৎকৃষ্ট বিকল্প, যা নাগরিক জীবনকে ধাবিত করছে উন্নত জীবন ধারণের দিকে।
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
৫ দিন আগে
ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের উদ্দেশে প্রায় ৪০০ আরোহী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ফ্লাইটটি। অক্ষত রয়েছেন সব যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোসরা জানান, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে বিজি-৩৪৭, বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফট ৩৯৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে দুবাইয়ে উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় মাঝ আকাশে ক্যাপ্টেন একটি টেকনিক্যাল সিগন্যাল পান, যার ফলে কাছাকাছি ভারতের নাগপুর এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
তিনি আরও বলেন, নাগপুর এয়ারপোর্টে সব যাত্রীকে অত্যন্ত সুচারুরূপে সবধরনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে আজ সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ নাগপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে ১২টা ৩৯ মিনিটে পৌঁছে গেছে এবং নাগপুরে অপেক্ষমান যাত্রী নিয়ে ইতিমধ্যে দুবাই রওনা দিয়েছে।
যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করছে বলে জানান বোসরা ইসলাম।
২৪ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন
যাত্রী ও বিমানকর্মীদের মাঝে নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান প্রধান কার্যালয়ের বলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের কার্যক্রমে ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আনুষ্ঠান উদযাপিত হবে।
এ সময় বিমানের পরিচালক ও ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত
বিমানের মহাব্যবস্থাপক নিরাপত্তা মেজর মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিমানের নিরাপত্তা বিভাগ সুনামের সঙ্গে যাত্রীদের ব্যাগেজ, কার্গোপণ্য, এয়ারক্রাফট ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি সার্ভেইলেন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়।
এছাড়াও উড়োজাহাজ থেকে যাত্রী নামার পর কেবিন চেক করে যাত্রীদের ভুলে ফেলে যাওয়া মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করে যাত্রীদের ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা বিভাগ বিমানের পাশাপাশি অন্যান্য এয়ারলাইন্সকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেবার মাধ্যমেও উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে।’
তিনি বলেন ‘নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিমান নিরাপত্ত বিভাগ বিমানবন্দরে ও বিমানের বিভিন্ন স্থাপনায় যাত্রী ও বিমানকর্মীদের মাঝে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ব্রিফিং ও লিফলেট বিতরণ করছে এবং ব্যানার স্থাপন করেছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি: শ্বেতপত্র
১০৪ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের হাইড্রোলিক বিকল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৭৫ যাত্রী
যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে অধিকতর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান অর্থ পরিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স’ এর ওপর বিমানের সকল কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স ট্রেইনার ডেভিড জর্জ এবং জেমস জনস্টোন।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন- কার্গো পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার ও উপসচিব মো. নওসাদ হোসেন, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিচালক এয়ার কমডোর মো. মনিরুল ইসলামসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
৩০৫ দিন আগে
প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানের আর্থিক সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার ও পরিবেশনের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই চেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক জনসংযোগ মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে নিজ পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ ও উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বোয়িংয়ের ২টা ৭৩৭-৮০০, ৪টা ৭৭৭-৩০০ই আর, ৬টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানির ২টি ড্যাস৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ কিনতে ২ হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান। এই উড়োজাহাজগুলোর মালিকানা স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
২০২৫ সালে আরও ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করবে বিমান।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
করোনাকালে বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকারের দেওয়া আর্থিক প্রণোদনা ঋণ হিসেবে ৭৮৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পরে বিমান মুনাফা করার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রণোদনা ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিমানের বহরে লিজে থাকা ২টি ড্যাস-৮-৩০০ এবং ২টি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে কিনে নিয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজ রয়েছে ১৯টি।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
৩১০ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় কলসেন্টারের শর্ট কোড ১৩৬৩৬ নম্বরে কল করে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম।
এই কল সেন্টারের মাধ্যমে যাত্রীরা বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ১৩৬৩৬ নম্বর থেকে ‘বিমান’ সম্পর্কিত সকল ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ০৯৬১০৯-১৩৬৩৬ নম্বরে ডায়াল করে দেশের বাইরের যাত্রীরা কল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুরু করা এই কলসেন্টারটি এখন প্রথম ধাপে আছে। শিগগিরই আউটসোর্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইম নিয়োগ দেওয়া, পৃথক স্থাপনায় কলসেন্টার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন আধুনিক ফিচারের সংযোজনের মাধ্যমে স্মার্ট কলসেন্টারটিকে অধিকতর যাত্রীসেবা দেওয়ার উপযোগী করে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্বাহী পরিচালকরা, সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ‘বিমান’। প্রতিষ্ঠার পরপরই তৎকালীন বিটিটিবির (বর্তমান বিটিসিএল) সহযোগিতায় মতিঝিল কার্যালয়ে ‘টেলিফোন সেলস অ্যান্ড সার্ভিস’ চালু করে যা স্বাধীন বাংলাদেশে ‘কল সেন্টার’ সেবা প্রণয়নের পথিকৃৎ।
আরও পড়ুন: জি টু জি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কানাডা
৩৫৭ দিন আগে
বিমানের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যানবাহন বিভাগ সোমবার (১১ মার্চ) এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এদিকে বিমানের অপারেশনাল ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অধিকতর উন্নয়ন করতে নতুন যানবাহন ও জিএসই সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেলা উপলক্ষে বিমানের সব আন্তর্জাতিক রুটের টিকেটে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের তৈরি আধুনিক ১৮টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো ও ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর, দুইটি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট পুশ-ব্যাক টো-ট্রাক্টর এবং নতুন কেনা সেডান ভিআইপি কারগুলোর কমিশনিং করেন।
এদিকে জিএসই বিভাগের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় জাপানের টয়োটা টুসু করপোরেশনের তৈরি ১৮টি ব্রান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো ও ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর জিএসই বহরে সংযোজিত হওয়ায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরও উন্নত হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যানবাহন বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনার সব দায়িত্ব পালন করলেন বিমানের নারীরা
৩৭০ দিন আগে
প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনার সব দায়িত্ব পালন করলেন বিমানের নারীরা
নারী দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করলেন নারীরা। ঢাকা-দাম্মাম রুটে ওই ফ্লাইটের পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ সবাই ছিলেন নারী।
দক্ষতা আর পেশাদারিত্বের অসামান্য অবদান রাখা নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এদিন ফ্লাইট পরিচালনার সব বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-দাম্মাম রুটের বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি পাইলট হিসেবে পরিচালনা করেন বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম। এছাড়াও ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রু হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন নারী।
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের (অতিরিক্ত সচিব) নির্দেশনায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ), মহাব্যবস্থাপক (গ্রাহক সেবা), প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে নারীরা দায়িত্বরত।
বিমানে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট রয়েছেন যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড় ৬ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ (১০.৪)। এছাড়াও রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রু।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইনস্ট্রাক্টরসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব শাখায় নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট
৩৭৩ দিন আগে
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সংঘাত কবলিত সুদান থেকে সৌদি আরবে আশ্রয় নেওয়া ২৬২ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে আজ (শুক্রবার) মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনেছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩৩৮ এর মাধ্যমে মদিনা থেকে ২৩৯ জন এবং দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিজি১৩৬ এর মাধ্যমে জেদ্দা থেকে ২৩ জন দেশে পৌঁছেছেন।
দেশে ফেরার পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ যুগ্মসচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমানসহ আইওএম এর প্রতিনিধিরা।
গত ৮ মে থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান। ৮ মে ১৩৬ জন এবং ১১ মে ৫১ জন সুদান প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনে এয়ারলাইন্সটি।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
৬৭৪ দিন আগে
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চীনের গুয়াংজু শহরের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিমানের আর্থিক অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো অবস্থানে যাবে বলে আশা করছি। বিমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: ৪১৯ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছাড়লো
তিনি বলেন, ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের চীনে যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। বর্তমানে ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে এই ফ্রিকোয়েন্সি আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই রুট বিমানের অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যাহিদ হোসেন এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত
উদ্বোধনের পর স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ২২৯ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ফ্লাইট বিজি-৩৬৬ স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৬৭ ঐদিনই গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় উড্ডয়ন করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৯টায়।
৯৪১ দিন আগে