সৌদি আরব
সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে যৌথ টাস্কফোর্স: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাকরিসূত্রে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স কাজ করবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের ব্যাপক অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রণোদনা, অনলাইন অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সর্বজনীন পেনশন সুবিধা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।
পাশাপাশি প্রবাসীদের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশবিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্ক ও তৎপর থাকা এবং দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মান উন্নয়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, বিনিয়োগের সম্ভাবনা
এ সময় সৌদি আরবে আরও দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবী নিয়োগ, আকামা নবায়ন সহজীকরণ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, চট্টগ্রাম থেকে রিয়াদ সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালু, ওয়েজ আর্নারস বন্ড, প্রবাসীদের স্বাস্থ্যবীমা, মৃত প্রবাসীদের লাশ ফেরত আনার সুব্যবস্থা, আইনি সহায়তা, দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট নবায়ন, এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন, পরিবারের ভিসা নবায়নের বিষয়ে প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া সমাধানের আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার বক্তৃতায় বলেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সমগ্র বিশ্ব তার প্রশংসা করছে, সৌদি সরকারও ভূয়সী প্রশংসা করেছে।'
সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংসহ বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সৌদি আরব গমনেচ্ছু বাংলাদেশিরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি আরব গমনের পূর্বে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিয়োগকারীর যথার্থতা যাচাই করা প্রয়োজন।
সৌদিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন- অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের প্রতিনিধি, প্রবাসী শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা।
আরও পড়ুন: সৌদির সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক বৈঠক: প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ক্রাউন প্রিন্সের সফর
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব আগামী ১ জুলাই দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে যেখানে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বাংলাদেশি অভিবাসী, রোহিঙ্গা সংকট ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হবে।
রবিবার (৩০ জুন) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রিয়াদে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
বৈঠকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, আইসিটি ও পর্যটন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান দুই দিনের সরকারি সফরে সোমবার ভোরে রিয়াদ পৌঁছাবেন। আগামী ৩ জুলাই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
যেহেতু বিনিয়োগ বিষয়ে নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনার কথা রয়েছে তাই প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক পূর্ব ও পশ্চিম) নজরুল ইসলাম, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পশ্চিম এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান ও পরিচালক নাফিসা মনসুর ।
এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে; যা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সুসংহত করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, সৌদি যুবরাজ এ বছর বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। উভয় পক্ষ এটি চূড়ান্ত করার জন্য বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করতে পারে।
১৯৮৫ সালে তৎকালীন সৌদি যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোনো সৌদি যুবরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সৌদি নেতার সফরকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি (এমওইউ ও চুক্তি) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে বলে উভয় পক্ষই আশা করছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান টেকসই সম্পর্ক ও বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পর্যায়ে বিদ্যমান বোঝাপড়া ও সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে এটিকে ফলপ্রসূ করার ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কার্যকরী সমন্বয় ও একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জোর দিয়েছে।
বেশ কয়েকটি সৌদি কোম্পানি এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং আরও কয়েকটি কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃহত্তর সম্পৃক্ততার কথা বিবেচনা করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি সৌদি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
চলতি বছরের মে মাসে কিংডম অব সৌদি আরব (কেএসএ) বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৩-৭৪ সালে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছিল।
সে সময় এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সৌদি উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
আরও পড়ুন: ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হক হৃদয় (২৫) নামে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় (সৌদি সময় রাত ৯টায়) সৌদি আরবে আবাহার মাহাইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ কোম্পানি পাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে সড়ক পার হবার সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। সেখানকার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হৃদয় প্রায় ২ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি চাচার দোকানে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ সেখানে দাফন কিংবা দেশে আনার ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশাচালকসহ নিহত ২
বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের অগ্রগতি জানতে চায় সৌদি আরব
১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে দেশটি।
রবিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বহু বছর আগে, ১৯৭৩-৭৪ সালে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে যায়। সঠিক সংখ্যাটি আমাদের অজানা। তারা (সৌদি পক্ষ) আমাদের জানিয়েছিল যে সংখ্যাটি ৬৯ হাজার। এটা কমবেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না তবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে হবে এই বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে আমরা কোথাও ধীরগতিতে এগোচ্ছি কি না, কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কি না বা কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না তা দেখতে তিনি (সৌদি উপমন্ত্রী) এখানে এসেছেন।’
পাসপোর্টের তথ্য অপরিবর্তিত রেখেই সেগুলো নবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
সৌদি সরকারের আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তারা লোকজনকে ফেরত পাঠায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট
৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছায় ফ্লাইটটি।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এ সময় আরও ছিলেন, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের আরও স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল- খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
হজযাত্রীদের শুভকামনা জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে।
বাংলাদেশি হজ যাত্রীরা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির একান্ত সহকারী এম ইউনুস আলী ইউএনবিকে জানান, জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, 'আমি ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলাম। দেশের মানুষের জন্য দোয়া করেছি।’
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালন করলেন মির্জা ফখরুল
এর আগে গত ৫ মে ওমরাহ পালন ও মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ তথা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করেছেন তারা।
এর আগে ২ মে ফখরুল ও তার স্ত্রী ঢাকা থেকে মদিনায় যান। সেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কবর জিয়ারত করেন তারা।
শুক্রবার (৩ মে) মসজিদে নববীতে জুমার নামাজও আদায় করেন তারা।
৫ মে ওমরাহ পালন শেষে মক্কার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেলেন মির্জা ফখরুল
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আগস্ট মাস থেকে প্রবাসী ও শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের উন্নত যাত্রীসেবা দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হয়েছে ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস
সপ্তাহে প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাসসহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
রাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা ঢাকা-জেদ্দা রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া ও যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী সময়কে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাসকাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
১৯ এপ্রিল থেকে চেন্নাই রুটে বাড়ছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ৮০টি সৌদি আরবের কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরব সফররত সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্য সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসব বৈঠক করেন সালমান এফ রহমান।
তিনি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আলক্রুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
সালমান বলেন, ‘পিআইএফ মহাসচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন এবং বৈঠকে সৌদির ৮০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করার তথ্য তুলে ধরেছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতায় আগ্রহী। সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের ভিত্তিতে অপরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব সৌদি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এ সময় তারা দুই দেশের অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এখন কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে। সভায় জেভি ডিপিটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।
সাদ আলক্রুদ পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ৭ জেলায় ঈদুল ফিতর উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, চাঁদপুর, বরিশাল ও ঝিনাইদহ জেলায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের একদিন আগে এসব জেলায় ঈদ উদযাপন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও ফতুল্লার কয়েকটি এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহ্ সুফি মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদরাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, পুরান ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ, দেশের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
হযরত শাহ সুফি মমতাজিয়া মাদরাসার খতিব মুফতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন শুভ জানান, হানাফির মাজহাবের মতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করার বিধান রয়েছে। তারা হযরত হানাফি (রা.) মাজহাবের অনুসারী। জাহাগিরিয়া তরিকার অনুসারীরা গত ১০০ বছর আগ থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা অনুযায়ী ঈদ পালন করে আসছেন।
এদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৪টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের জামাত আদায় করেছেন মুসল্লীরা। আলাদা আলাদা ঈদ জামাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদের জামাত আদায় করা রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়ন গয়টা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল মোত্তালেব বলেন, আমরা প্রায় ৫ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা রাখা, ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।
ঝিনাইদহ জেলায়ও বিভিন্ন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ।
বুধবার সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াাডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার, চরপাড়া ও পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা এবং ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
চাঁদপুরে জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
প্রতি বছর হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, কচুয়া ও শাহরাস্তির ৪০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে রমজানের রোজা রাখা এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে ৪০ গ্রামে বুধবার ঈদ
বরিশালেও বুধবার ঈদ উদযাপন করছে কয়েক হাজার পরিবার।
বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীসহ আরও কয়েকটি এলাকার এসব মুসলিম পরিবার বহু বছর ধরেই এভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে।
বরিশাল নগরীর সাগরদী তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকায় জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজীয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত নামাজে কয়েকশ’ মুসল্লি অংশ নেন।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘিসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে পৃথক স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা। সকাল পৌনে ৮টায় দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও বিরল উপজেলার কামদেবপুর, কাজীপাড়া, ভারাডাঙ্গী, কাহারোলের মুকুন্দপুর, চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রায় ২ হাজার মুসল্লি।
আরও পড়ুন: সিলেটে কখন কোথায় ঈদের জামাত
বহুপক্ষীয় ফোরাম: ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে থাইল্যান্ড-সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
চলতি এপ্রিল ও আগামী মে মাসে বহুপক্ষীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, তার এই ত্রিদেশীয় সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। একই সঙ্গে এটি ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করারও একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা বিস্তৃত অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যা ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করবে যা ইতোমধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮-২৯ এপ্রিল রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের 'গ্লোবাল কোলাবরেশন, গ্রোথ অ্যান্ড এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল তিনি রিয়াদে থাকবেন।
এই বিশেষ বৈঠক সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদেরকে অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বৈঠকটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও ফোরামের মূল উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে। এর লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন দূর করা, যা উদীয়মান অর্থনৈতিক নীতি, শক্তি রূপান্তর এবং ভূ-রাজনৈতিক অভিঘাতের মতো বিষয়গুলো আরও প্রশস্ত হয়েছে।
এটি সমস্ত খাত এবং শিল্প থেকে ৭০০ জনেরও বেশি নেতাকে একত্রিত করবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংলাপ সক্ষম করবে, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী শক্তি রূপান্তরকে উন্নীত করবে, আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সহনশীল বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে ফোরামের কাজকে সমর্থন করবে।
অন্যদিকে গাম্বিয়া ৪-৫ মে বাঞ্জুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
গাম্বিয়া বলেছে, বাঞ্জুলে অনুষ্ঠেয় ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন।
৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী