সৌদি আরব
সৌদি আরবকে বাংলাদেশে উৎপাদন খাত গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে উৎপাদন খাত স্থাপনের জন্য সৌদি আরবকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সাশ্রয়ী শ্রমবাজার এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে সৌদি আরব লাভবান হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি সৌদি আরবকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত—বিশেষ করে তেল শোধনাগার—স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা এবং ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রবিবার (২৭ জুলাই) নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফের বিন আবিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে স্টেট গেস্ট হাউস ‘যমুনা’য় গেলে এই আলোচনা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। ওই আমন্ত্রণে আগামী অক্টোবর মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ৯ম ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সৌদি যুবরাজের বাংলাদেশ সফরের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান খাতগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা: বিডা
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তার সময়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। একইসঙ্গে তার (রাষ্ট্রদূত) দায়িত্বকালে সৌদি দূতাবাসকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়ে সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব।
জবাবে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের গভীর সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জানান, সৌদি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এবং ৮টি শহরে ৮টি মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকার ২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতের হাতে জুলাই ২০২৪ সালের গ্রাফিতি সংগ্রহ উপহার হিসেবে তুলে দেন।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
১৩০ দিন আগে
রানওয়েতে হজ ফ্লাইট বিকল, ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শাহ আমানত
সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৩৮৭ জন হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি১৩৮ ফ্লাইটটি শাহ আমানতে অবতরণের পর এ গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নমিয়ে আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, আজ সকালে অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যায় এবং আর চলতে পারে না।
এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সেটিকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ফ্লাইটে থাকা সব হজযাত্রী নিরাপদেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
১৫২ দিন আগে
সাতক্ষীরায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০টিরও বেশি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মোহাব্বত আলী।
ইসলামকাটি, গোয়ালচত্তর, ভাদড়া, ঘোনা, মিরগিডাঙ্গাসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মুসল্লিরা এসব জামাতে অংশ নেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ঈদের জামাতে শরিক হন।
স্থানীয় মুসল্লি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলায় ২০টির অধিক গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে নৌপথে কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার
তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় মুসল্লিদের মতে, বিগত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সৌদি আরবের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেন তারা।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি দেন।
১৮১ দিন আগে
সৌদিতে আরও বেশি বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নিতে সৌদি সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসা বিন ইউসূফ বিন এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন ৬৯ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু বা পুনরায় ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত। এটিকে ৪০ লাখে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, অদূর ভবিষ্যতে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিল।
আরও পড়ুন: বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে পারস্পরিক সহযোগিতা: কৃষি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী দেশে বসবাস ও চাকরি করাসহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই—এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার।
তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু বা নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়েছিল এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩৯ দিন আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর) তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক ইসহাক সায়েদের (২১) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্টে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠান তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেলে করে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। গতকাল সকালে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত এনে যেন দাফনের ব্যবস্থা করা যায় কান্নাজড়িত গলায় সরকারের কাছে সেই আবেদন জানান তিনি।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
২৩৯ দিন আগে
আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা
আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশে ফ্লাইট শিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন হজযাত্রীরা। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে।’
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছর সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রীর জন্য আমরা সব আনুষ্ঠানিকতা তথা মিনায় ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ ও ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি। এখন তাদের ভিসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে।’
আরও পড়ুন: এদেশকে কুরানের আলোয় আলোকিত করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর আমাদের হজযাত্রীদের একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতার কারণে মোট ৭৫৩টি এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত এসব হজযাত্রী ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, কঠোর মনিটরিং ও ফলো-আপ তৎপরতার কারণে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির ২০২৫ তারিখের মধ্যে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য কেবল মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ গ্রহণ ও ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি-এই দুটি অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন হয়।’
২৪০ দিন আগে
বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সেখানে ঈদুল ফিতরের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা ও ফিলিস্তিনে গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধে সৃষ্টিকর্তার দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশে রোজা শুরু হওয়ার এক দিন আগে রোজা পালন করা শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার চেয়ে এক দিন আগেই তারা ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ কিছু এলাকার মানুষও একই সঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন, তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় রাখালতুলি জামে মসজিদে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা।
২৪৯ দিন আগে
সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
শনিবার সৌদি আরবে ঈদের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল রবিবার সেখানে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন উদযাপন করবে সৌদি আরব।
খবরে বলা হয়েছে, আজ (শনিবার) স্থানীয় সময় মাগরিবের নামাজের পর বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদির চাঁদ দেখা কমিটি। এর ফলে দেশটিতে ২৯ রোজার পর এ বছর ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সৌদির রয়্যাল কোর্টের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ (শনিবার) রমজানের শেষ দিন এবং আগামীকাল (রবিবার) রাজ্যজুড়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এর ফলে বাংলাদেশে সোমবার ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের পরের দিন সাধারণত বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। তবে সৌদির সঙ্গে মিল রেখেও দেশের অনেক জায়গাতে ঈদ উদযাপন করে থাকে দেশের অনেক মুসল্লি।
২৫০ দিন আগে
রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার কিনছে সরকার
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪১৮ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মা আদেন সৌদি আরব ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চতুর্থ লটের ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। সৌদি আরবের মা আদেন থেকে প্রতি টন সার ৬২৭.৫০ ডলারে কেনা হবে।
এছাড়া রাশিয়ার বিদেশি অর্থনৈতিক করপোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় নবম লটের ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
রাশিয়র প্রোডিন্টর্গ থেকে আনা প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩০৬.৩৭ ডলার। এতে মোট খরচ হবে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা।
২৫২ দিন আগে
সংকুচিত হয়েই চলেছে দেশের শ্রমবাজার, রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ
গত এক বছরে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনবল রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শ্রমবাজার ক্রমেই সংকুচিত হয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ কর্মী গিয়েছেন মাত্র পাঁচটি দেশে— সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। সে বছর ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ জন কর্মী বিদেশ পাঠানো হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৭ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী বিদেশে যান। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৪২ জনে। অর্থাৎ, চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় কেবল ফেব্রুয়ারিতেই জনবল রপ্তানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
তিনটি বড় শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এগুলো হলো— মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশগুলোতে নিয়োগ কমে যাওয়ায় এবং মালয়েশিয়া, ওমানের পাশাপাশি বাহরাইনের শ্রমবাজারও বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এর মাঝে অবশ্য সরকার নতুন শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা করছে, তবে তাদের সাফল্যকে এখনও পর্যাপ্ত বলা যায় না। বিদ্যমান বাজারগুলো চালু করতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার পরিবর্তনের পর শ্রমবাজারের অবস্থা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।
এরপর জনশক্তি ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু নতুন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা প্রবাসী কল্যাণ নিয়ে নানা সময়ে বক্তব্য দিলেও বাস্তবে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
প্রধান শ্রমবাজারগুলোর অবস্থা
মালয়েশিয়া
২০২৩ সালে সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪ সালে এক লাখেরও কম কর্মী দেশটিতে যেতে পেরেছেন।
ওমান
২০২৩ সালে ওমানে সোয়া লাখের বেশি কর্মী যান, কিন্তু ২০২৪ সালে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় মাত্র ৩৫৮ জন কর্মী যেতে পেরেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০২৩ সালে প্রায় এক লাখ কর্মী আমিরাতে গিয়েছিলেন, তবে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজারে।
বাহরাইন
২০১৭ সাল থেকে বাহরাইনে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। গত বছরও দেশটি বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীও নেয়নি।
দক্ষ কর্মীর অভাব ও বিকল্প শ্রমবাজার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর হার কম। দক্ষ কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান প্রতিশ্রুতিশীল শ্রমবাজার হলেও ভাষা ও পেশাগত দক্ষতার অভাবে অনেকেই সেখানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। অথচ সে বছর মাত্র ৪ হাজার ৪৯৬ জন কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়। ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে গিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯১৮ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাসনিম সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার দাবি করে বাংলাদেশ থেকে ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ৯৫ শতাংশ কর্মীই যাচ্ছে মাত্র ছয়টি দেশে। বাকি দেশে আসলে নামেমাত্র কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কোথাও তা মাত্র ২ থেকে ৩/৪ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের কারণে। অনেক কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ পাননি, ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। সরকারকে দ্রুত মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবকাঠামো খাত বন্ধ থাকায় কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। এছাড়া সৌদি আরবে গত বছর ৬ লাখ কর্মী যাওয়ায় (এ বছর) চাহিদা কমে গেছে বলে জানান এই গবেষক।
দেশের ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ইউএনবিকে বলেন, ‘শ্রমবাজারের সংকট কাটাতে হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাজারগুলো দ্রুত খুলতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যায় বলে পরামর্শ দেন তিনি।
হায়দার আলী বলেন, ‘বিকল্প বাজার তৈরি না করা গেলে (দেশের) শ্রমবাজার হুমকির মুখে পড়বে। তখন মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা আরও বিপজ্জনক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংকুচিত হয়ে যাওয়া কাতার ও সৌদির শ্রমবাজারে লোক পাঠানো আরও বাড়াতে হবে। থাইল্যান্ড সম্ভাবনাময় একটি বাজার ছিল, সেটিও বন্ধ। এটি চালু করতে দুই দেশের আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সাত-আটটি বড় শ্রমবাজারের মধ্যে তিনটি বন্ধ রয়েছে। কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবেও কর্মী নিয়োগ কমেছে। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান গত এক বছর ধরে শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছে। এসব বাজার খুলতে না পারলে কর্মী পাঠানোর হার আরও কমে যাবে।’
কী বলছে সরকার
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা শ্রমবাজার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি; নতুন নতুন বাজার খুলছি। যেমন: রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার কঙ্গোতে নতুন করে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রাশিয়ায় বেশি কর্মী যাচ্ছে।’
ইরাক ও ইরানেও কর্মী পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইরাকে ৫০০ ডলার বেতনে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় সব ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস থাকলেও কর্ম ভিসার জন্য ভারত বা নেপালের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, যা বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।’
২৫৪ দিন আগে