বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ আইনকে মহাচুরির বন্দোবস্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটি আইন ছিল, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে আইন আর আসেনি। এটা ছিল মহাচুরির একটা বন্দোবস্ত। এই আইনের আড়ালে লাখ কোটি টাকা চুরি হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন ছিল— আমি আর আমার দুলাভাই বসে ঠিক করব কে কোথায় কাজ পাবে। কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া নেই, আইনের ন্যূনতম অনুসরণ নেই। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় আমরা ওই আইন বাতিল করেছি।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের কাছে ২১ পাতার একটি কার্যবিবরণী দিয়েছে। আপনারা গত এক বছরে পুলিশকে লেথাল ওয়েপনস ব্যবহার করতে দেখেননি। এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘জুডিশিয়ারিতে যুগান্তকারী কিছু কাজ হয়েছে। জজ নিয়োগ, ফাইন্যান্স, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক— এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে গত এক বছরে এই সরকার কাজ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্থিতিশীলতা। ভয়ংকর এক দুর্যোগ থেকে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনা খুবই কঠিন কাজ। সরকার তা করতে পেরেছে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এক-দু’টি বিচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ড দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিসংখ্যানই বলবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল। পুলিশের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে এবং তা আরও বাড়বে।’
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘গত ১২ মাসে সরকার অনেক শ্রম দিয়েছে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে। আমরা সফল হয়েছি।’
আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে চাঁদাবাজি ও সহিংসতা নিয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহেই বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি আওয়ামী লীগের অপশাসন থেকে সবাই শিক্ষা নেবেন, সাংবাদিকরাও। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো মনস্টার না তৈরি হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’