শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা এবং স্মরণশক্তিকে মেধা বলে চালিয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা, সেখান থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে আমরা স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারব না।’
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্টে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১৬ বছর পর্যন্ত কম খরচে দেশের সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমান কারিকুলামের শিখন পদ্ধতি গতানুগতিক শিক্ষার ধরন থেকে ভিন্ন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট প্রজন্ম গড়তে শিক্ষায় যে রূপান্তর চলছে তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। মুখস্ত শিক্ষা, মেমোরি ড্রাইভেন প্রসেস থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
বর্তমান কারিকুলামের মূলনীতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞান, মূল্যবোধ ও দক্ষতা এই তিনটির সমন্বয়ে হবে আমাদের শিক্ষা। সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, সমতা, জাতীয়তাবোধ, কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার মতো ভ্যালুগুলো নিশ্চিত করতে হবে ‘
প্রক্রিয়াগত কারণে অথবা অর্থের অভাবে যেন কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে শিক্ষকদের আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে ঝরে না পড়ে।”
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার।
শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ধরে রাখা ও শিক্ষকের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রজেক্ট।’
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. অ্যাবদুলেই সিক।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ, ইআরডি, আইএমইডি ও প্লানিং কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অংশীজন।