বৈঠকে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাত নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরেন তার মধ্যে রয়েছে- হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো, রুট টু মক্কা ইনিসিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা এবং হজ শেষে দেশে ফেরার সময় জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে হাজিদের ইমিগ্রেশন সহজ করা, হাজিরা যাতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের কম সময়ে দেশে ফেরত যেতে পারেন সে ব্যবস্থা ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা।
সেই সাথে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের খাওয়া-থাকাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর তালিকা দ্রুত প্রকাশ, হাজিদের জন্য বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহের প্রথা বন্ধ এবং মিনায় উন্নতমানের বাংলাদেশি খাদ্য পরিবেশন ও আবাসনের ব্যবস্থা করার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি হজের সময় বাংলাদেশে আইন লঙ্ঘন করে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, হাজি পরিবহনে বাস সেবা উন্নত করা এবং ট্রেন পরিবহন সেবা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।
ধর্ম সচিব আনিছুর রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর (হজ) মুহম্মদ মাকসুদুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন আব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসাইন তাসলিমসহ প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।