আগামী ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা।
বিদ্যুৎ খাতে এখন যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্যাসের দামেও সমন্বয় করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সর্বশেষ গত বছরের মার্চে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল সরকার।
বিপিডিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯৮ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৭ হাজার ২৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
এর প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ১১ টাকা ৩৩ পয়সা এবং প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে খরচ হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। এতে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে প্রায় ৪ টাকা ৬৩ পয়সা।
এই ভারসাম্যহীনতার কারণে সরকার অর্থবছরে ৪৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফলে বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: নাট্যকারদের মধ্যে একাত্মতাবোধ নেই: বিদ্যুৎ রায়
এই বিশাল লোকসানে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ৮২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে এবং নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে সরকারকে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিপিডিবির নিজস্ব কেন্দ্রে গড়ে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ৬৩ পয়সা, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (আইপিপি) ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, ভাড়া কেন্দ্রে ১২ টাকা ৫৩ পয়সা, সরকারি প্লান্টে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ভারত থেকে ৮ টাকা ৭৭ পয়সা দরে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারে।
সরকার বেসরকারি খাত ও ভারত থেকে ডলারে বিদ্যুৎ কেনে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি