নিহত ইউছুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের আবু তাহের প্রকাশ ওলি উল্লাহর ছেলে। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, নিহত ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউছুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বীরকোর্ট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউছুফের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ইউছুফ পুলিশের কাছ থেকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে গুলিবিদ্ধ ইউছুফকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেনের দাবি, নিহত ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ৭টি, ডাকাতি প্রস্তুতির ৩টি, সিঁধেল চুরির ১টি ও অস্ত্র আইনে ১টি মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, চারটি তাজা কার্তুজ, সাত রাউন্ড গুলির খোসা, তিনটি রামদা, একটি টর্চলাইট ও একটি গ্যাস লাইটার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।