জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি এইচ ম্যাককেইন গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে 'ব্যাপক সাফল্যের' জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া হ্রাস এবং জলবায়ু প্রতিকূলতা মোকাবিলায় ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন ও গণহত্যার কারণে দেশটি ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের (জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক) আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ডব্লিউএফপি-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কমিশনের লেটার অব কমিশন উপস্থাপনের সময় এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
রাষ্ট্রদূত ও পিআর ইসলাম কমিশন গ্রহণ করার জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উপলব্ধি বিনিময়ের জন্য নির্বাহী পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি'র কার্যক্রম বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ডব্লিউএফপি প্রধানকে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং কর্মসূচি এবং রাইস ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামে সরকারের অংশগ্রহণ (আর্থিক ও পরিচালন উভয় অবদান) সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি’র অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, আশ্বাস ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ডব্লিউএফপির নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত ২০২২-২০২৬ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান (সিএসপি) অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে, বিশেষ করে এসডিজি-২ বাস্তবায়নে 'সেভিং অ্যান্ড চেঞ্জিং লাইভস ওয়ার্ল্ডওয়াইড' এর ওপর নিবিড়ভাবে জোর দিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএফপি একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর মো. জসিম উদ্দিন, বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন ও রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়শা আক্তার এবং ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে ডব্লিউএফপি'র সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি