আবরার হত্যায় জড়িত ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি বুয়েট কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়ার পর এক বৈঠক শেষে বুধবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সব ধরনের আন্দোলন সমাপ্ত করার ঘোষণা এসেছে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান সায়েম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বুয়েট কর্তৃপক্ষ আমাদের তিনটি দাবি মেনে নিয়েছে। এ কারণে আমরা আমাদের আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করছি।’
বুয়েটের হলে ছাত্রলীগের নির্যাতনের কারণে সহপাঠী আবরার নিহতের পর দুই মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘র্যাগিং এবং ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকার সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলে গত সোমবার রাতে আদেশ জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।’
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবিই পূরণ হয়েছে। একই সাথে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি করার পরিকল্পনা রয়েছে, বলেন তিনি।
‘আমরা আবরার হত্যার বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সাথে করার দাবি করেছিলাম। আমরা আশা করি আদালত বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবে এবং পুরো দেশের আশা পূরণ করবে,’ যোগ করেন সায়েম।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) গত ৬ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন নেতা-কর্মী।
আন্দোলনের মুখে গত ২১ নভেম্বর বুয়েট কর্তৃপক্ষ আবরার হত্যায় জড়িত ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে।