সমাবর্তনে পবিপ্রবির চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, পবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখন ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সমাবর্তনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। সমাবর্তন স্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে এক লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের মঞ্চ।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে অংশ নেয়ার জন্য স্নাতকের এক হাজার ৯৬৮ জন, স্নাতকোত্তর ৯৫১ জন ও পিএইচডি ৯ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।
এর আগে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে পবিপ্রবির ২য় সমাবর্তনে অংশগ্রহণের নিবন্ধন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিভিএম থেকে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক ও অন্যান্য সকল অনুষদ থেকে ২০০৫-০৬ শিক্ষার্বষ হতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষর্থীরা এবং জানুয়ারি-জুন ২০১৯ সেশন পর্যন্ত এমএস/এমবিএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী সকল শিক্ষার্থীকে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ প্রদান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অফিস চলাকালীন (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা) সময়ে নিজ নিজ বিভাগ থেকে সমাবর্তনের কস্টিউম, ব্যাগ ও উপহার সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের দিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্ব-স্ব বিভাগ হতে মূল সনদ গ্রহণ করবেন।
এ সময়ের মধ্যে কেউ সনদ নিতে না পারলে পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে মূল সনদ গ্রহণ করা যাবে।
দ্বিতীয় সমাবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ বলেন, ‘সমাবর্তন শিক্ষার্থীদের একটা অধিকার। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় সচেতন। আশা করছি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় একটি সফল ও পরিপূর্ণ সমাবর্তন উপহার দিতে পারব।’