প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার জেরেমি বুয়ার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার সরকার দক্ষতার সঙ্গে এর মোকাবিলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে জনগণের সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জেরেমি বুয়ার জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে আরও সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ভালো করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি খেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।