এদিন করোনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ৩ হাজার ৬৮৪টি। নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ২১৩টি। যার মধ্যে ৮৮৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫টি। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.২৪ শতাংশ। আর করোনা শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ঈদের দিনের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আর ২২ জন মৃতের মধ্যে দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৫৪ জনে। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৭৯ এবং নারী ৬৭৫ জন।
প্রতিদিনের মতো সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য যে স্বাস্থ্যবিধির কথা প্রতিদিন বলা হয় সেগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান।
নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে, নিজেকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১ জনসহ মোট ১,৪৬২ জন মারা গেছেন। যা ৪৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে আরও ৫৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন। ৫৬.৮৪ শতাংশ সুস্থতা নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ১১১ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭ জনে।