উপাচার্য–শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ, ইদ-উল- আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন বন্ধসহ মোট ৫৩ দিনের বন্ধ শেষে রবিবার (২৩ জুন) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে।
এই ৫৩ দিনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্দেশে তিন দফায় ১৪ দিন ক্লাস নেননি শিক্ষকরা।
শুক্রবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও ক্লাসে ফেরার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টার (দুপুর ১২টা থেকে ২টা) অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণাও রয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া শিক্ষকদের দাবি আদায়ের জন্য ২০ জুলাই পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে সশরীরে ক্লাস নেব। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অনলাইনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া আমাদের কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের ৭ দফা দাবি আদায়ে গত ১৩ ও ১৪ মার্চ প্রথম দফায় ক্লাস বর্জন করে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে। ঈদুল ফিতরের বন্ধ শেষে তৃতীয় দফায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। সর্বশেষ ২৯ এপ্রিল শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। উদ্ভূত পরিস্থিতি সহনীয় করতে ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই ঘোষণা পাল্টে প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়া গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত ৯৫ তম সিন্ডিকেটে। সেই মোতাবেক ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম চলে। তবে পূর্ব নির্ধারিত ছুটি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন বন্ধ পায়। সর্বশেষ গত ২১ জুন ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতিও।