‘গুড বাই বাংলাদেশ’লিখে ছবি ধারণ ফেসবুক পোস্ট করে ঢাকা বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা খেলেন ফেনীর এক ব্যক্তি। রবিবার রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে থেকে একটি ডাকাতি মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার এনামুল হক রাকিব ফেনীর সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ‘গুড বাই বাংলাদেশ’ লিখে এনামুল হক রাকিব চাচা নুর ইসলাম বাবুলের সাথে ইমিগ্রেশনে প্রবেশের আগের ছবি ধারণ করে ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। আর এতেই কপাল পুড়ে চাচা নুর ইসলাম বাবুলের। একটি ডাকাতি মামলার আসামী হিসেবে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেসবুক পোস্টটি সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন দাইয়ানের নজরে পড়লে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করেন। পরে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা বাবুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ওসি খালেদ জানান, বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার বাবুল সোনাগাজী মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। গত ২৬ মার্চ উপজেলার চরদরবেশ ইইনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আমিনুল হকের নতুন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার বাড়ির বাসিন্দা নুর নবী শিমুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হলে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয় এবং বাবুলের নেতৃত্বে ডাকাতি সংগঠিত হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
তিনি জানান, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারর জন্য অভিযান চালালে তিনি আত্মগোপনে চলে যায়। ঢাকা বিমানবন্দরে বাবুলের অবস্থানের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার রাতেই মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার ও নন্দন চন্দ্র সরকার তাকে থানায় নিয়ে আসেন। সোমবার দুপুরে তাকে ফেনীর আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
তবে গ্রেপ্তার বাবুলের মা সাফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকতে পারে না। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে সে প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির অনুরোধ উপক্ষো করে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তাদের ষড়যন্ত্রে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। যে ডাকাতি মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে সেই মামলার বাদী আমার ছেলেকে অভিযুক্ত না করলেও সেই মামলায় তাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে।