‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ প্রতিবাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো শনিবার দেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২২।
দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘ উত্তরাধিকার, প্রাসঙ্গিকতা ও সক্রিয়তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর) প্রদর্শনের জন্য একটি বছরব্যাপী প্রচারণা শুরু করেছে।
কল টু অ্যাকশন #স্ট্যান্ডআপ৪হিউম্যানরাইটস-এর সঙ্গে বছরব্যাপী প্রচারাভিযান ইউডিএইচআরের সার্বজনীনতা ও সম্পর্কিত সক্রিয়তা বিষয়ে বৃহত্তর জ্ঞানের দিকে বোঝার ও কর্মের সূচকে স্থানান্তরিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার এক বার্তায় বলেন, মানবাধিকার হচ্ছে মানব-মর্যাদা; শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য, সমান ও সমৃদ্ধ সমাজের ভিত্তি।
তিনি সদস্য রাষ্ট্র, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত ও অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আজকের ক্ষতিকারক প্রবণতাগুলোকে বিপরীত করার প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকার রাখার জন্য।
গুতেরেস বলেন, বিশ্ব মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ও আন্তঃসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য কোটি কোটি মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের প্রতি অবমাননা বাড়িয়ে তুলছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা উবে যাচ্ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সালে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্যান্য মতামত, জাতীয় বা সামাজিক উৎপত্তি, সম্পত্তি, জন্ম বা অন্যান্য মর্যাদা নির্বিশেষে এটি একটি মাইলফলক দলিল, যা অবিচ্ছেদ্য অধিকার ঘোষণা করে। এটি প্রত্যেকেরই একজন মানুষ হিসেবে সহজভাবে প্রাপ্য।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ