স্বাধীনতা
ইসলামাবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এ বছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দুই পর্বে উদযাপন করা হয়েছে।
উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হ্ইাকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী ও তার সহধর্মিনী মিসেস শামসাদ আরা খানম ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় অভিজাত হোটেল মেরিয়টে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করেন।
সংবর্ধনায় পাকিস্তানের রাজ্য ও সীমান্ত অঞ্চল বিষয়ক এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব ধর্ম ও ইন্টারফেইথ হারমনি বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মদ তালহা মাহমুদ পাকিস্তান সরকারের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক, মাদক নিয়ন্ত্রন এবং পরিকল্পনা ও উদ্যোগ বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রীগণ, পাকিস্তানের অডিটর ও কম্পট্রোলার জেনারেল (কেবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদার), ৩০ জনের অধিক সিনেটর ও জাতীয় সংসদের সদস্য, প্রাদেশিক এসেম্বলীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ, পাকিস্তান সরকারের বেসামরিক ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, প্রবাসী বাংলাদেশি সমন্বয়ে সাড়ে পাঁচ শতাধিক অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থলে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করা হয়। সংবর্ধনা হলটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি তুলে ধরে ব্যানার ও স্ট্যান্ডিজ দিয়ে সাজানো হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘রূপকল্প ২০২১’ অর্জন ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প ও উদ্যোগ বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।
অতিথিরা বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত বই ও প্রকাশনা, সায়য়িকীসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সমৃদ্ধ ব্যানার, স্ট্যান্ডিজ ইত্যাদি অত্যন্ত আগ্রহসহকারে দেখেন।
হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী তার স্বাগত বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী ও বিধ্বংসী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের সরকারি সম্পদ, কৃষি, বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। উপরন্তু মানুষের মৃত্যু, ব্যক্তিগত ঘর-বাড়ি ধ্বংস এবং মানসিক আঘাতের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ছিল অপরিমেয়। সে হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় শূন্য থেকে নয় বরং ঋণাত্বক অবস্থান থেকে।
তিনি তার বক্তব্যে বিগত ৫০ বছরে বিশেষ করে স্বাধীনতা পরবর্তী সাড়ে তিন বছর এবং বর্তমান সরকারের অধীনে উনিশ বছরের বেশী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা বিশেষভাবে তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বলেন, বিশাল প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বঞ্চনাহীন দেশ হিসেবে পরিণত করার কাজ শুরু করেন। দুর্ভাগ্যবশত ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ৫ বছরের জন্য দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা পুনরায় শুরু করেন। তিনি ২০০৯ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হয় এবং বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে দয়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: কানাডার সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাশ
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন এবং মানুষের গড়আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছরসহ বাংলাদেশ এখন একটি জ্ঞানভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের একটি দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশে পরিনত হয়েছে। গত ১৪ বছরে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৭ শতাংশ। করোনা মহামারী চলাকলীন গত অর্থবছরে সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দমমিক ৯৪ শতাংশ। বাংলাদেশ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, শতবাগ বাড়ি বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এ কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত।
এমুহুর্তে যখন বিশ্ব অর্থনীতি নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশ ‘ভিশন-২০৪১’ এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উচ্চ আয়ের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেডারেল মন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মদ তালহা মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, একইরূপ বিশ্বাস ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে দুদেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনার, ফেডারেল মন্ত্রীগণ, বিশেষ অতিথিগণ, কূটনৈতিক কোরের ডিন, সার্কভূক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারসহ নানরকম সুস্বাদু খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
বর্তমান সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেরকে কোনোমতেই ক্ষমতায় আর আসতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ও অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো-আশা ছিলো, আকাঙ্খা ছিলো-একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা; সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পুরনো কায়দায়।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, এখন তাদের অবস্থান স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ওনুসারী পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশে (বাংলাদেশ) আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করার একদিন পর ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
বুধবার ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করার জন্য সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘যখন সবাই আইনটি বাতিলের দাবি করছে, তখন আপনি দাম্ভিকতা করছেন যে এটি বাতিল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন এটা বাতিল করা উচিত নয়? আপনি এটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাই আপনি এই অস্ত্র হারাতে চান না।’
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেও স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করেছিল। এখন দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের জয় হবে। ’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এ কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসে এমন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছি। এই আশা নিয়েই আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষানী ওনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে অনুমতি বাতিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিস্তৃতি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিবেশী অনেক দেশেই গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এমন অবাধ স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করে না।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে হয় তাহলেই গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। আর যদি স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সমাজের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রেরও ক্ষতি হয়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম ব্যতিরেকে গণতন্ত্র হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা ব্যতিরেকে গণতন্ত্র কখনো পথ চলতে পারে না, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। সে কারণে গণতন্ত্রকে সংহত করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ, ন্যায়ভিত্তিক-বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে, উল্লেখ করে পরিসংখ্যান দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সম্প্রচারে আসা টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৩৯টি, খুব সহসা আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি টেলিভিশন এবং বেতারের যাত্রাও শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন টিভি চ্যানেল ছিলো ১০টি আর দৈনিক পত্রিকা ছিলো সাড়ে ৪০০ যা এখন ১২৬০। ২২টি বেসরকারি এফএম রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে ১২টি সম্প্রচারে আছে, কয়েক ডজন কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে যার বেশিরভাগই সম্প্রচারে আছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত শত কিংবা কয় হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার।
ইতোমধ্যে দুই শতাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, পত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনলাইনসহ সেটা আরও অনেক বেশি।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এর ফলে আজকে হাজার হাজার সাংবাদিক গণমাধ্যমে কাজ করছে। আজকে যারা বিদগ্ধ সাংবাদিক তারা তাদের এই ‘ট্যালেন্ট’ প্রকাশ করার সুযোগ পেতেন না যদি গণমাধ্যমের এ রকম ব্যাপক বিস্তৃতি না ঘটতো। পৃথিবীর আশপাশের দেশে গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এ রকম অবাধ স্বাধীনতার মধ্যে কাজ করে না। কয়েকটি ছাড়া প্রায় সকল টেলিভিশন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই অনুমোদন পেয়েছে। আর সকল টেলিভিশনে প্রতিদিন রাতের বেলায় টক শো’তে সরকারের সমালোচনা হয়। সংবাদ যখন প্রকাশ করা হয় তখনও সরকারের ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না। কারণ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কথায় কথায় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেই। একটি জেলে পল্লী থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর উন্নত দেশে রূপান্তরিত হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রায় সব দেশের চেয়ে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় বেশি। সিঙ্গাপুরের ৪টি চ্যানেল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পত্রিকাও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সব টেলিভিশন চ্যানেল ফিড একটা জায়গা থেকে আপলিংক করা হয়। কোনো কনটেন্ট পছন্দনীয় না হলে তা অফ করে দিয়ে বিজ্ঞাপন বা অন্য কিছু দেওয়া হয়। আমাদের দেশে তা নয়। মালয়েশিয়ার ছেলেমেয়েরা ৮০’র দশক পর্যন্ত আমাদের দেশে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে যাচ্ছে। তারা কিভাবে এই জায়গায় এলো সেটি একটি বিস্ময়। সেখানে গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতা নাই, বিস্তৃতিও নাই।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে অনুসরণের চেষ্টা করি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশন কিম্বা কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার দায়ে গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। বিবিসিতে একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার কারণে পুরো বিবিসি টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ১৩০ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা পরিশোধ করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এ ধরণের ঘটনা কখনো ঘটেনি। কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও যুক্তরাজ্যের মতোই ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়, শাস্তি পেতে হয়।
‘পত্রিকায় পুঁজির দৌরাত্ম্য আজকে দেশে একটা সমস্যা’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যখন সংবাদমাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ হয়, সেই পুঁজির দৌরাত্ম্য সাংবাদিকদের ওপর খড়গ বসায়, তাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করি কিন্তু আমি মনে করি সুস্থভাবে, অবাধে, ভয়হীন পরিবেশে কাজ করার ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের পুঁজির দৌরাত্ম্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। কয়েকজন সাংবাদিক নেতা প্রশ্ন রেখেছেন, ব্যাংকের মতো সংবাদ মাধ্যমের পরিচালনা পর্ষদে কেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর থাকবে না!
এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় বলেছি আজকেও বলবো, একজন সাংবাদিক, গৃহিনী, চাকরিজীবী, কৃষক অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন। অনেক সাংবাদিকও এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক তার চরিত্র হননের প্রতিকারের জন্য এই আইনে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
হাছান বলেন, আজকের আলোচনায় সাংবাদিকরাও বলেছেন, এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরণের আইন আজকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে করেছে। অনেক দেশে এই আইন আমাদের চেয়ে কঠোর। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ছাড়া অন্যগুলোতে ফাঁসি নাই। কিন্তু সেখানে ডিজিটাল অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যুক্তরাজ্যের লোকসংখ্যা আমাদের তিন ভাগের এক ভাগ, ৬ কোটির একটু বেশি। সেখানে প্রতি মাসে কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হয়। আমাদের দেশে হয় না। একজন গ্রেপ্তার হলে সেটা পত্রিকায় শিরোনাম হয়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণে-অকারণে মামলা ঠুকে দেওয়া, সঙ্গে সঙ্গে আবার গ্রেপ্তার করা- এগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমি একমত। কোনো একটা গোষ্ঠীকে কোনো আইন থেকে বাদ দেওয়া সেটি সমীচীন নয় কিন্তু কোনো আইন যেন কারো ওপর অপপ্রয়োগ না হয় সেটি আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগের তুলনায় অপপ্রয়োগ কমেছে, অপপ্রয়োগটা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোমেন
সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়।
‘আমরা বলেছিলাম আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি, কিন্তু এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে,” পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষকে এসব কথা বলেছেন।
মোমেন বিপুল সংখ্যক সংবাদপত্র ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের চালু থাকার কথা উল্লেখ করেন যাকে তিনি ‘অতি সক্রিয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের মতে, সভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ‘গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয় দেখানো’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান ও সম্পন্ন কাজের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা যথাযথভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নতিতে চলমান ইউএস-বাংলাদেশ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন।
মোমেন শ্রমের মানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স
কর্পোরেশনের (ডিএফসি) অধীনে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে বিবেচনা করার জন্য মার্কিন পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএফসি হলো আমেরিকার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন। এটি আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সমাধানে অর্থায়নের জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছে না: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ইতালিতে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার(২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় ইতালি, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মো. শামীম আহসান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বটি মিশনের অডিটোরিয়ামে কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক ও মিশনের কর্মকর্তা- কর্মচারিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে তেলাওয়াত এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং আলোচনা সভা। আলোচনা পর্বে কমিউনিটির রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব মো. শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন যে তার সম্মোহনী নেতৃত্ব ছিল দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন তার স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সূতোয় সংযুক্ত করেছে যা মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশের দীর্ঘ লালিত স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
এর আগে পবিত্র রমজান মাসের কারণে, জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা গত ২০ মার্চ রোমের অভিজাত পারকো দে প্রিন্সিপি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সুশীল সমাজের সদস্যরা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃরা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ প্রায় ২০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব (সচিব) জনাব ডা. জোভানি লিওনার্দি।
ইতালিয় এবং বাংলাদেশি শিল্পীদের বাংলা ভাষায় চমৎকার পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিতে বর্ণিল মাত্রা যোগ করে এবং উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে।
মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন এবং মোটিফ দিয়ে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে রপ্তানিযোগ্য সামগ্রী এবং হস্তশিল্পের প্রদর্শনী এবং দ্বিভাষিক প্রকাশনা প্রদর্শন করা হয়। যা অতিথিদের প্রশংসা অর্জন করে। অতিথিদের দূতাবাসের দ্বিভাষিক প্রকাশনা অপর্চুনিটা বাংলাদেশ -এর একটি করে কপি প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ
পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গন বর্ণাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। এসময় সমবেতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হাইকমিশনার সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ এবং সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সবশেষে হাইকমিশনার সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাউসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে এক ইফতার-ডিনার এর আয়োজন করেন।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৫২ বছর আগে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই গণতন্ত্র এখন দুর্ভাগ্যবশত সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।’
রবিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের এখন ভোটাধিকার নেই, কথা বলার ও লেখার অধিকার নেই।
ফখরুল বলেন, ‘এখানে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত করে ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য অধিকার ফিরে পেতে এবং শান্তিতে বসবাসের আন্দোলন শুরু করেছে। সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম এত বেড়ে গেছে যে মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুট করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়েছে।
ফখরুল বলেন, তারা কোনো শর্ত ছাড়াই বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং ৩৫ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবেন।
বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ১০টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে আসেন এবং ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
সেখানে তারা জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এর আগে সকালে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
তিনি বলেন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন ও আশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও, মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করছে এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ‘স্বৈরাচারী সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মানুষ তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে এবং সাংবাদিকরা সত্য লেখার অধিকার হারিয়েছে।
তিনি শোক প্রকাশ করেন যে তাদের দলের চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলন শুরু করার কারণে কারাগারে বন্দী হয়েছিলেন এবং ৩৫ লাখের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ডিএমপিকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নিয়েছেন যে তারা ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়ানোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। -উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
১৬ মার্চ দলটি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ১০ দিনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আগামী ২৭ মার্চ বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গণসমাবেশ’ করবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রেকর্ড করা রেডিও ও টেলিভিশন বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তখন বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন করে।
শেখ হাসিনা তার বাণীতে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি এবং পাই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সালাম জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ – উল্লেখ করে তিনি তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৫০ বছরের সম্পর্কে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যা করেছে
২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫: রাষ্ট্রপতি হো চি মিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ভিয়েতনামকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। ১৯৫৪ সালে জেনেভা চুক্তি সই হওয়ার পর, ভিয়েতনাম সাময়িকভাবে দু’টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়।
২০ ডিসেম্বর, ১৯৬০: দক্ষিণ ভিয়েতনাম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট একটি দ্বৈত কার্য সম্পাদন করে। দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের বিপক্ষে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভিয়েতনামের দক্ষিণের স্বাধীনতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য একটি জাতীয় যুক্ত ফ্রন্ট এবং একটি বিপ্লবী প্রশাসন হিসাবে গঠন করেছিল।
৬ জুন ১৯৬৯: দক্ষিণ ভিয়েতনামের ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টকে একটি আনুষ্ঠানিক সরকারি কাঠামো প্রদান এবং দক্ষিণের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২৬ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৭২:
এপ্রিল মাস: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে।
- ২৫ নভেম্বর: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
১৯৭৩:
- জানুয়ারি: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্যারিস শান্তি চুক্তি সইয়ের জন্য গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম ভান ডাংকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
- ১১ ফেব্রুয়ারি: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
মে:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেছেন।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধিদল ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেন।
- ২৬ জুলাই: বাংলাদেশ দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৯৭৪:
- ১৮ ফেব্রুয়ারি: ঢাকায় দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের দূতাবাস খোলা হয়।
(১৯৭৬ সালে ভিয়েতনামের পুনর্মিলনের পর এটি ঢাকায় ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে পরিণত হয়)।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের পরামর্শদাতা পরিষদের চেয়ারম্যান নগুয়েন হু থু বাংলাদেশে একটি সরকারি সফর করেছেন।
১৯৭৭:
ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- সেপ্টেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্র বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
১৯৭৮:
মে: বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
১৯৭৭:
- জুলাই: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ভিয়েতনাম সফর করেন।
- ডিসেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশ সফর করেন।
জুলাই: ঢাকায় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের দূতাবাস আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হো চি মিন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম
১৯৯৩:
- দুই দেশ ‘বিমান সেবা চুক্তি’ সই করেছে।
- নভেম্বর: হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা হয়।
১৯৯৪:
- মে: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- দুই দেশ ‘দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরামর্শ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক’ এবং অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহযোগিতার চুক্তি সিই করেছে৷
১৯৯৬:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বাণিজ্য চুক্তি’ সই করেছে।
১৯৯৭:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘সাংস্কৃতিক চুক্তি,’ ‘অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠার চুক্তি,’ ‘ভিয়েতনাম সংবাদ সংস্থা (ভিএনএ) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) এর মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে। এছাড়াও ‘ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি ’সই হয়।
১৯৯৯:
- মে: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘পানি সম্পদ উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার চুক্তি’ এবং ‘কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়ের চুক্তিতে সই করেছে।’
২০০০:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল $23.7 মিলিয়ন।
মার্চ: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- জানুয়ারি: ঢাকায় ভিয়েতনামের দূতাবাস পুনরায় চালু করা হয়।
- জুলাই: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৪:
মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দ্যক লুং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘কৃষিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’ এবং ‘দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি’ সই করেছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৫:
- মে: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি’ সই করেছে৷
২০০৬:
- ফেব্রুয়ারি: অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের প্রথম সভা হ্যানয়েতে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৬৪ দশমিক ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৯:
- মে: বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- নভেম্বর: ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
২০১১:
- এপ্রিল: বাংলাদেশের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- মে: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল জলজ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করতে ভিয়েতনাম সফর করে।
- জুন: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল প্রাণিসম্পদ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মত বিনিময়ের জন্য ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১২:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী হ্যানয়েতে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভিয়েতনামের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
২০১৩:
- এপ্রিল: ঢাকায় অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১৫:
- মার্চ: ঢাকায় যৌথ বাণিজ্য উপ-কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, আবদুল হামিদ, ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
২০১৬:
- মার্চ: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১৭:
- এপ্রিল: ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভাইস চেয়ারওম্যান টং থো ফং ঢাকায় ১৩৬তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলিতে যোগ দেন এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্ট স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- জুলাই: বাংলাদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: ঢাকায় প্রথম বিদেশি কার্যালয় পরমর্শ অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কোয়াং বাংলাদেশে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৮১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৯:
- জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- ডিসেম্বর: জয়েন্ট ট্রেড সাব-কমিটির দ্বিতীয় সভা হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২১:
- সেপ্টেম্বর: নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৩৫ বিলিয়ন।
২০২২:
- জানুয়ারি: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথন হয়।
- আগস্ট: কম্বোডিয়ার নমপেনে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে অংশগ্রহণের সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৪৭ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের আলোচনা হয়েছে: এমএফসি