স্বাধীনতা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ভিন্নমত-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে: টিআইবি
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর অনেক ধারা নাগরিকদের বাক, ভিন্নমত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের অধিকার খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অধ্যাদেশে অনেকাংশে আগের কালো আইনসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক বৈশিষ্ট্য রয়ে গেছে।
টিআইবি বলছে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে যথাযথ পর্যালোচনার সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে এ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘অধ্যাদেশটি পর্যালোচনা করে আমরা দেখছি, এতে অনেকাংশে পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের এজেন্ডা ও ভাষ্যেরই প্রতিফলন ঘটেছে। একাধিক ধারায় পূর্বের ডিএসএ বা সিএসএ-এর পুনরাবৃত্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পতন ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক ধাক্কা: টিআইবি
তিনি বলেন, এ অধ্যাদেশ জনগণের বাক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং সংগঠনের অধিকারকে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। নতুন অধ্যাদেশটি দেশবাসীর ডিজিটাল অধিকার নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলা হলেও বাস্তবে এতে আমরা অনেকটাই আগের কালো আইনসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকতে দেখছি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অধ্যাদেশে অনেক জটিল ও অস্পষ্ট শব্দ, শব্দগুচ্ছ ও ধারণার ব্যবহার করে এর অপব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে একটি জগাখিচুড়ি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অধ্যাদেশটির খসড়া প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়নি এবং যথাযথ পর্যালোচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে এমন প্রক্রিয়ায় এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক অধ্যাদেশ অনুমোদন পাওয়া বিব্রতকর।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অধ্যাদেশ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য, যদিও ধর্মীয় অনুভূতির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তদুপরি, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত যেমন অগ্রহণযোগ্য, একইভাবে সকলের সমঅধিকার, অসাম্প্রদায়িক এবং বৈষম্যবিরোধী মূল্যবোধের উপর আঘাতও একই মাত্রায় অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। এ ধরনের ধারা যদি সংযুক্ত করতেই হয়, তাহলে ধর্মীয় মূল্যবোধে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না। সকল মানুষের সমান অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা এবং সার্বিকভাবে বৈষম্যহীন মূল্যবোধের প্রতি আঘাত আনে এমন মন্তব্যও সমানভাবে অগ্রহণযোগ্য হবে, এমন ধারা সন্নিবেশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, অধ্যাদেশটি বর্তমান অবস্থায় জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে না। আশা করি, অধ্যাদেশটি প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে অগ্রসর হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ঢেলে সাজানো হবে, যাতে সাংবিধানিক অঙ্গীকার এবং সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনসমূহ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সুরক্ষিত হয়।’
টিআইবি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ পর্যালোচনা করেছে এবং সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, এই অধ্যাদেশের কাঠামো এবং বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অধ্যাদেশটি সাইবার সুরক্ষা, সাইবার অপরাধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় একত্রিত করার চেষ্টা করলেও, এর অস্পষ্ট শব্দাবলী ও জটিল ভাষা সাধারণ জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছে। আবার, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’, ‘ব্লকচেইন’ এবং ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটিং’ এর মতো প্রযুক্তিগত শব্দগুলোর সঠিক সংজ্ঞা না থাকার কারণে আইনের প্রয়োগে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
টিআইবি মনে করে, অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ও পুলিশকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা পূর্বের সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ধারা ২-এ ব্যবহৃত ‘কম্পিউটার’, ‘উপাত্ত ভাণ্ডার’ এবং ‘কম্পিউটার সিস্টেম’-এর সংজ্ঞাগুলো অতিরিক্ত বিস্তৃত এবং প্রযুক্তিগত বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যা আইনের প্রয়োগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, অধ্যাদেশের শিরোনাম এবং কাঠামোও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিরোনামে সাইবার সুরক্ষা, সাইবার অপরাধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সব কিছু একত্রিত করা হলেও, এতে কিছু অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। ধারা ৮-এর উপ-ধারা (২)-এ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব, রাজনৈতিক অপব্যবহার বা নাগরিকদের ইন্টারনেট অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে। ধারা ১৬ ও ১৭-এ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সনদপ্রাপ্ত মনিটরিং প্রক্রিয়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাঙার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট বিধান থাকা উচিত। ধারা ২৫-এ সাইবার বুলিং, অপমান, হয়রানি বা ব্ল্যাকমেইলের বিষয়টি খুবই বিস্তৃত এবং বিভ্রান্তিকরভাবে আনা হয়েছে, যা যুক্তিসঙ্গত সমালোচনাকেও ‘অপমান’ বা ‘হয়রানি’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, ফলে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। এ কারণে, এই ধারাটি সংশোধন করে সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এরশাদুল করিম টিআইবির পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
১ মাস আগে
২০২৪ সালের বিজয় আমাদের স্বাধীনতাকে পূর্ণ করেছে: নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও ২০২৪ সালের বিজয়ের আগ পর্যন্ত অরক্ষিত ছিল।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '২০২৪ সালের বিজয় আমাদের স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহারে উপদেষ্টা নাহিদকে ফখরুলের আহ্বান
এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ২০২৪ সালের বিজয় ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের’ থাবা থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, যাতে জনগণ সত্যিকারের বিজয় অর্জন করতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই মাসের আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, 'এই দিনটি একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য আমাদের অনড় ও দৃঢ় সংকল্পের একটি প্রমাণ।’
উপদেষ্টা স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রেখে সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের লড়াই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা নাহিদ
১ মাস আগে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘খর্ব করার চেষ্টায়’ বিএনপির উদ্বেগ
দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আজ একটা ভয়াবহ কাজ শুরু হয়েছে… যেটা হচ্ছে, সংবাপত্রের ওপর আঘাত, স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আঘাত। যার জন্যে আমরা সব সময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তিনি প্রথম সংবাদপত্রকে মুক্ত করেছিলেন।… সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছে খালেদা জিয়ার সময়ে, বিএনপির সময়ে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে দায়িত্বশীল আচরণ করুন: বিএনপি নেতাদের তারেক
বিএনবি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যখন দেখছি, কিছু সংখ্যক হঠকারী, কিছু সংখ্যক উসকানিদাতা তারা বিভিন্নভাবে এই সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিঘ্নিত ও ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন যেটা কোনোমতেই সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়।’
‘আমি অনুরোধ জানাব, অনুগ্রহ করে এই ভয়াবহ আত্মহননের কাছ থেকে সরে আসুন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করুন।’
এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান তিনি। বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সব কিছু একসঙ্গে করে ফেলা সম্ভব নয়। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই পারে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে।… তার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
‘তারেক রহমান: পলিটিক্স এন্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ বইটি লিখেছেন সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন। বইটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কের ‘উড ব্রিজ’।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
২ মাস আগে
বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাকে ছিনতাই করেছিল বিরোধী কুচক্রী মহল: অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ ও স্বাধীনতাকে বিরোধী কুচক্রী মহল ছিনতাই করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)' এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এই বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বললেও ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এতো এতো নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তৃতি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ ১০ হাজার কিলোমিটার নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১ হাজার ১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে একশ’ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এই অগ্রযাত্রায় সামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৮ মাস আগে
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল গতবারের মতো এবারও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৫ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা র্যাংকিং সূচকে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৪ সালের এ সূচক প্রকাশ করে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বিষয়টি দেখেছি। এবার যে রিপোর্টটি এসেছে তা গত বছরের পারফরমেন্সের রিপোর্ট। তাদের নির্ণয় প্রক্রিয়াতে তারা কোনো পরিবর্তন আনেনি। একই জায়গায় রেখেছে। স্টাডিগুলো করতে যে ধরনের পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়, সেই পদ্ধতিতে তারা করেছে কি না দেখব।
তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ জনকে একাট্টা করে মতামত নিয়ে একটা র্যাংকিং করে দিলেন। এটা তো একটা দেশের চিত্র হতে পারে না, সেসব মানুষের মতামত হতে পারে। মতামতগুলো কার কাছ থেকে নিচ্ছেন, কতজনের কাছ থেকে নিচ্ছেন- এটার কোনো স্বচ্ছতা নেই। খুবই দুর্বল একটা পদ্ধতি, এটা দিয়ে সেটা দিয়ে রিফ্লেকশন হয় না।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি মরিশাস ঘুরে এসেছি। সেখানে সরকারি ছাড়া প্রাইভেট গণমাধ্যমই নেই। র্যাংকিংটা দেখেন তারা বাংলাদেশের উপরে, না নিচে। ভুটানে দুই না তিনটা চ্যানেল আছে, সব সরকারি। সেটাকে বাংলাদেশে ৪৮টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া আছে, ভুরি ভুরি প্রিন্ট মিডিয়া আছে। অনলাইনের সীমা-পরিসীমা নেই। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পরিধি অনেক বেড়েছে। ভাইব্রেন্ট একটা গণমাধ্যমের পরিবেশ, এখানে কমপ্লেক্স রিয়েলিটি তো থাকবেই, খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি। সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে হবে। সেখানে কমপ্লেক্স রিয়েলিটিগুলো ধরে এমনভাবে র্যাংকিং করছেন সেটা সত্য পরিবেশের আসল চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। সেই র্যাংকিংয়ের পদ্ধতিতে তো নিশ্চয়ই গলদ আছে, ভুল আছে। সেই জিনিসটা আমরা তুলে ধরেছি, আবার তুলে ধরব।
শুধু পদ্ধতিগত নয় গত রিপোর্টে তারা কিছু ভুল তথ্যও দিয়েছিল জানিয়ে আলী আরাফাত বলেন, ছয়জন নাকি ডিটেইনশনের শিকার হয়েছেন। আমরা যখন বলেছি, এটা ভুল, তখন তারা এটা সরিয়ে ফেলেছে। তারা যে সরিয়ে ফেলল, এতে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে যে, তারা ভুল ছিল। ভুল তথ্য তারা যাচাই না করে কেন ছাপিয়েছিল? এরপর আবার যে ছয়জনের নাম ঢুকিয়েছে, সেখানেও ভুল আছে। সেটাও আমি তাদের উত্তর দেব।
বার বার যদি তারা এ কাজ করে তাহলে তাদের বুঝতে হবে এখন থেকে কাদের তথ্য নিয়ে তারা রিপোর্ট বানাচ্ছে। যারা তথ্য দিচ্ছে তারা সততার সঙ্গে দিচ্ছে না কি কোনো এজেন্ডা আছে তাদের।
সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফের র্যাংকিংকে আমি স্বাগত জানাই, এ ধরনের র্যাংকিং করা ভালো। তাহলে গোটা বিশ্বের একটা চিত্র আমরা পাব। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে যদি পদ্ধতিগত দুর্বলতা হয়। যারা তথ্য দিচ্ছে তারা যদি ভুল তথ্য দেয় সেটা যাচাই না করে ছাপিয়ে ফেললে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
আমি অনুরোধ করব বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে তারা যাতে পদ্ধতিগত দুর্বলতা উতরে যেতে পারেও তথ্য নেওয়ার পর যাচাই করেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ও গুজব রোধে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছে। অপতথ্য রোধে তারা আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। আমরাও তাদের সমর্থন করব।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক বিজয়ী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় প্রধানমন্ত্রীর শোক ও নিন্দা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
১০ মাস আগে
স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হলেন ১০ জন
দেশের জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ১০ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে মনোনীতদের নাম জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মোহাম্মদ নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) এ পদক পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমেদ খান এ পদক পাচ্ছেন।
চিকিৎসা শাস্ত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছেন ডা. হরিশঙ্কর দাস।
সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ও ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন এ পদক পাচ্ছেন।
পাবলিক সার্ভিস ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকন স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দিয়ে সম্মাননা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতা পদক হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
কুয়ালালামপুরে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (৯ মার্চ) কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণী, প্যান্ডোরা চৌধুরীর সঙ্গে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী স্টিভেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাফল্য ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতার স্মরণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল। নৃত্য পরিবেশনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার মহাকাব্যিক সংগ্রাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের সচিত্র বর্ণনাসহ অডিটোরিয়ামটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাসহ সুশীল সমাজের সদস্য এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি রমজান মাসে পড়ায় স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ আয়োজন করে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অংশীদারিত্বে রূপান্তরে গুরুত্বারোপ ইউএই'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আজকে ৭ মার্চকে অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই সন্দেহ।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ৭ মার্চ পালন করে না। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ৭ মার্চ ছাড়া হতে পারে না। সুতরাং যারা এটি মানে না বা পালন করে না, তারা আসলে স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '৭ মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র একটি ভাষণ নয়। এটি একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে রচিত মহাকাব্য। জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি এ-ও বলেছিলেন- যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। অর্থাৎ তিনি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন, এরপর তিনি চূড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।'
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন ঢাকা থেকে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল- 'চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।' অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন যে তাতে করে তাকে অভিযুক্ত করারও সুযোগ ছিল না।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১০ মাস আগে