স্বাধীনতা
বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাকে ছিনতাই করেছিল বিরোধী কুচক্রী মহল: অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ ও স্বাধীনতাকে বিরোধী কুচক্রী মহল ছিনতাই করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)' এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এই বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বললেও ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এতো এতো নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তৃতি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ ১০ হাজার কিলোমিটার নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১ হাজার ১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে একশ’ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এই অগ্রযাত্রায় সামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৫ মাস আগে
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল গতবারের মতো এবারও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৫ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা র্যাংকিং সূচকে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৪ সালের এ সূচক প্রকাশ করে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বিষয়টি দেখেছি। এবার যে রিপোর্টটি এসেছে তা গত বছরের পারফরমেন্সের রিপোর্ট। তাদের নির্ণয় প্রক্রিয়াতে তারা কোনো পরিবর্তন আনেনি। একই জায়গায় রেখেছে। স্টাডিগুলো করতে যে ধরনের পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়, সেই পদ্ধতিতে তারা করেছে কি না দেখব।
তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ জনকে একাট্টা করে মতামত নিয়ে একটা র্যাংকিং করে দিলেন। এটা তো একটা দেশের চিত্র হতে পারে না, সেসব মানুষের মতামত হতে পারে। মতামতগুলো কার কাছ থেকে নিচ্ছেন, কতজনের কাছ থেকে নিচ্ছেন- এটার কোনো স্বচ্ছতা নেই। খুবই দুর্বল একটা পদ্ধতি, এটা দিয়ে সেটা দিয়ে রিফ্লেকশন হয় না।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি মরিশাস ঘুরে এসেছি। সেখানে সরকারি ছাড়া প্রাইভেট গণমাধ্যমই নেই। র্যাংকিংটা দেখেন তারা বাংলাদেশের উপরে, না নিচে। ভুটানে দুই না তিনটা চ্যানেল আছে, সব সরকারি। সেটাকে বাংলাদেশে ৪৮টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া আছে, ভুরি ভুরি প্রিন্ট মিডিয়া আছে। অনলাইনের সীমা-পরিসীমা নেই। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পরিধি অনেক বেড়েছে। ভাইব্রেন্ট একটা গণমাধ্যমের পরিবেশ, এখানে কমপ্লেক্স রিয়েলিটি তো থাকবেই, খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি। সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে হবে। সেখানে কমপ্লেক্স রিয়েলিটিগুলো ধরে এমনভাবে র্যাংকিং করছেন সেটা সত্য পরিবেশের আসল চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। সেই র্যাংকিংয়ের পদ্ধতিতে তো নিশ্চয়ই গলদ আছে, ভুল আছে। সেই জিনিসটা আমরা তুলে ধরেছি, আবার তুলে ধরব।
শুধু পদ্ধতিগত নয় গত রিপোর্টে তারা কিছু ভুল তথ্যও দিয়েছিল জানিয়ে আলী আরাফাত বলেন, ছয়জন নাকি ডিটেইনশনের শিকার হয়েছেন। আমরা যখন বলেছি, এটা ভুল, তখন তারা এটা সরিয়ে ফেলেছে। তারা যে সরিয়ে ফেলল, এতে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে যে, তারা ভুল ছিল। ভুল তথ্য তারা যাচাই না করে কেন ছাপিয়েছিল? এরপর আবার যে ছয়জনের নাম ঢুকিয়েছে, সেখানেও ভুল আছে। সেটাও আমি তাদের উত্তর দেব।
বার বার যদি তারা এ কাজ করে তাহলে তাদের বুঝতে হবে এখন থেকে কাদের তথ্য নিয়ে তারা রিপোর্ট বানাচ্ছে। যারা তথ্য দিচ্ছে তারা সততার সঙ্গে দিচ্ছে না কি কোনো এজেন্ডা আছে তাদের।
সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফের র্যাংকিংকে আমি স্বাগত জানাই, এ ধরনের র্যাংকিং করা ভালো। তাহলে গোটা বিশ্বের একটা চিত্র আমরা পাব। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে যদি পদ্ধতিগত দুর্বলতা হয়। যারা তথ্য দিচ্ছে তারা যদি ভুল তথ্য দেয় সেটা যাচাই না করে ছাপিয়ে ফেললে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
আমি অনুরোধ করব বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে তারা যাতে পদ্ধতিগত দুর্বলতা উতরে যেতে পারেও তথ্য নেওয়ার পর যাচাই করেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ও গুজব রোধে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছে। অপতথ্য রোধে তারা আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। আমরাও তাদের সমর্থন করব।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক বিজয়ী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় প্রধানমন্ত্রীর শোক ও নিন্দা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
৭ মাস আগে
স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হলেন ১০ জন
দেশের জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ১০ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে মনোনীতদের নাম জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মোহাম্মদ নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) এ পদক পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমেদ খান এ পদক পাচ্ছেন।
চিকিৎসা শাস্ত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছেন ডা. হরিশঙ্কর দাস।
সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ও ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন এ পদক পাচ্ছেন।
পাবলিক সার্ভিস ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকন স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দিয়ে সম্মাননা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতা পদক হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
কুয়ালালামপুরে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (৯ মার্চ) কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণী, প্যান্ডোরা চৌধুরীর সঙ্গে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী স্টিভেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাফল্য ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতার স্মরণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল। নৃত্য পরিবেশনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার মহাকাব্যিক সংগ্রাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের সচিত্র বর্ণনাসহ অডিটোরিয়ামটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাসহ সুশীল সমাজের সদস্য এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি রমজান মাসে পড়ায় স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ আয়োজন করে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অংশীদারিত্বে রূপান্তরে গুরুত্বারোপ ইউএই'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ মাস আগে
যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আজকে ৭ মার্চকে অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই সন্দেহ।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ৭ মার্চ পালন করে না। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ৭ মার্চ ছাড়া হতে পারে না। সুতরাং যারা এটি মানে না বা পালন করে না, তারা আসলে স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '৭ মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র একটি ভাষণ নয়। এটি একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে রচিত মহাকাব্য। জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি এ-ও বলেছিলেন- যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। অর্থাৎ তিনি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন, এরপর তিনি চূড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।'
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন ঢাকা থেকে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল- 'চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।' অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন যে তাতে করে তাকে অভিযুক্ত করারও সুযোগ ছিল না।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৭ মাস আগে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, সব বাস্তবতায় আমরা গনমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যতক্ষণ না গণমাধ্যম শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে আমরা সঙ্গে আছি।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থাৎ গণমাধ্যম এবং সরকারের মধ্যে একটি সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং আরর শক্ত ভিত্তির এই গণমাধ্যমকে দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কীভাবে সরকারকে সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে জবাবদিহিয় আনতে পারে, এমনকি সমালোচনাও করতে পারে সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমি যে কথাটি গত কিছুদিন ধরে বলে আসছি এবং এখনো বলছি- আপনাদের সঙ্গে নিয়ে তথ্য প্রচারের মাধ্যমে গুজব ও অপ্রপ্রচার প্রতিরোধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আজকে পেশাদার সাংবাদিকরাই তাদের এই পেশায় শৃঙ্খলার দাবি তুলছেন। আমরা তুলছি না। আপনাদের কাছ থেকেই বার বার দাবি আসছে। কিন্তু আমরা শৃঙ্খলা কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কারণ বিষয়টি আমাদের উপরে চলে আসবে। তখন বলা হবে শৃঙ্খলার নামে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। শৃঙ্খলা আপনাদের দাবি, আমরা তার সঙ্গে একমত হলাম। অন্য পেশায় ও অপেশাদার লোক চলে আসে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের পরমার্শ নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
৮ মাস আগে
'উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা' শীর্ষক বিআইডিএসের বার্ষিক সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
'উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলন শুরু হবে বৃহস্পতিবার।
আগামী ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৩ শতাংশ মানুষ চাকরি হারিয়েছে: বিআইডিএস
সম্মেলনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও নীতিবিকল্প, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র, কোভিড-১৯ পরবর্তী সংকট বিশ্লেষণ, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, তৈরি পোশাক খাত, দক্ষিণ এশিয়ার হালনাগাদ প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা, বৈশ্বিক মূল্যের ধাক্কা ও খাদ্য নিরাপত্তা, লিঙ্গ, জনসংখ্যার মেগাট্রেন্ডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মোট ১৮টি প্রবন্ধ, ৭টি গণ বক্তব্য ও ৫টি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। উন্নয়ন, কর, অবৈতনিক পরিচর্যার কাজ, বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থা, ভূ-অর্থনৈতিক বিষয়, সমসাময়িক বাংলাদেশে কৃষি পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং আরও অনেক কিছু থাকবে অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে ২০১৯-২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার কমেছে ৪.৩ শতাংশ: বিআইডিএসের জরিপ
এস আর ওসমানী, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আহসান এইচ মনসুর, বিনায়ক সেন, আতিউর রহমান, সাজেদা আমিন, নায়লা কবীর, জায়েদী সাত্তার, হোসেন জিল্লুর রহমান, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, আহমেদ মুশফিক মোবারক, সৈয়দ আবদুল হামিদ, প্যাট্রিক আলেকজান্ডার কার্বি, সিদ্ধার্থ শর্মা, ড্যানিয়েল রেসনিক, জেমস থারলো, পল ডরশ, গৌরব দত্ত, সৈয়দ মঈনুল আহসান, দিলেনি গুনওয়ার্দেনা, আহমদ আহসান, এম নিয়াজ, জিওফ উড এবং অন্যান্যরা সমসাময়িক উন্নয়ন আলোচনার মূল বিষয়গুলোতে মূল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করবেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক, সুশীল সমাজের সদস্য ও স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে 'অর্থনৈতিক নীতি: বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা' শীর্ষক বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ধনী ও দরিদ্রের আয়বৈষম্য বেড়েছে: বিআইডিএস’র গবেষণা
১০ মাস আগে