কর্মসূচি
যেসব কর্মসূচিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়াও জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে যেসব কর্মসূচি পালন করবে অন্তর্বর্তী সরকার
এ দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এদিন সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন।
২৪ দিন আগে
আপাতত কর্মসূচি নেই, সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ
আপাতত আর নতুন করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে না ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। তারা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলা অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের একজন নেত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে তিনি নাম প্রকাশ করেননি।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৮ জন নেতা বুধবার বিকেলে দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে মঞ্চের ওই নেত্রী বলেন, ‘গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি নারী হল থেকে শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন সারাদেশে চলমান নারীর প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা একটি মশাল মিছিল করি এবং রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ৫টি দাবি উত্থাপন করি। সেই পাঁচটি দাবি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি আকারে আইন উপদেষ্টার কাছে আমরা দিতে এসেছি।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আশা করছি, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হবে। যাতে এটা সারা বাংলাদেশের সামনের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
‘ধর্ষণের মামলা বিচারের জন্য আমরা একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য বলেছি। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের দিয়ে যে ধর্ষণগুলো সংঘটিত হয়েছে, তারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে, সরকার তাদের বিচারের আওতায় আনেনি। আমরা চাই, এই বিশেষ আদালত একই সঙ্গে পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করবে এবং বিচার করবে। আমরা বিশেষ করে সোহাগী জাহান তনু, মুনিয়ার মামলার কথা বলেছি। একই সঙ্গে র্যাব হেফাজতে রোজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ করার যে ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনাটির কথাও আমরা উল্লেখ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র, আইন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টাকে চলমান ধর্ষণের জন্য দায় স্বীকার করতে হবে। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়েছে জানিয়ে এই নেত্রী বলেন, ‘এগুলোকে ব্যবহার করে ধর্ষকরা ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। এই আইনগুলো সংস্কারের জন্য বলেছি আমরা। এক্ষেত্রে ধারা-উপধারাগুলোর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য বলেছি।’
তিনজন উপদেষ্টার দায় স্বীকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি দুজন উপদেষ্টা দায় স্বীকার করেছেন। বলেছেন, তারা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এজন্য তার আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মিটিংয়ের পর আপনারা সন্তুষ্ট কিনা- এ বিষয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রী বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেছি। পাঁচটা দাবি যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, বাংলাদেশের ধর্ষণের হার অনেক বেশি কমিয়ে আনা যাবে। যেভাবে স্যার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাতে আমরা আপাতত আশ্বস্ত হয়েছি।
আপনাদের এরপরের আন্দোলন কর্মসূচি কি হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমাদের আর কোন কর্মসূচি নেই। আমরা পর্যবেক্ষণ করবো আছিয়ার মামলার অগ্রগতি কিভাবে হচ্ছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে তারা কিভাবে কাজ করছে।'
৩৬ দিন আগে
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র-ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে দুপক্ষ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়, যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন, মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তার বলেন, কেন্দ্র-ঘোষিত কমিটি একতরফা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তারাই এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
অপরদিকে, নতুন জেলা কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের স্থানীয় শহিদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে চমেক হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য দেন— ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাকিল, রাকিব হাসান, শাহিন আলম, নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেন প্রমুখ।
৫০ দিন আগে
জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা ‘অযৌক্তিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাবির নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘পোষ্য কোটা চিরতরের জন্য বাতিল করতে হবে। জাবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তত একটা চাকরির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু জাবিতে পড়তে আসা এমন হাজারো শিক্ষার্থী আছে, যাদের বাবা কৃষক বা শ্রমিক। তাহলে তাদের সঙ্গে সব থেকে বড় বৈষম্য করছে প্রশাসন।’
অতি দ্রুত জাবির ভর্তি পরীক্ষা থেকে এই বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ, পরামর্শ চাইলন জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম নম্বর তুলেই একজন পোষ্য ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। অথচ দেশের কৃষক-শ্রমিকদের সন্তানরাও মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি, পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈষম্য তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা নামের কোনো কোটা থাকতে পারে না। দ্রুত জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সচেতন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদ, জাবি শাখার সদস্য সচিব ইকবাল হোসাইন, সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাজিরুল ইসলাম প্রমুখ।
৭৮ দিন আগে
ভোলায় তাবলীগ জামায়াতের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ভোলায় সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমার দেশ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলার শহরের বরিশাল দালান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিকের নাম মো. ইউনুস শরীফ। হামলায় তার মাথা ফেটে গেছে। এতে চারটি সেলাই লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সদর রোডে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাবলীগ জামায়াতের লোকজন। এ সময় শহরের বাংলা স্কুল মোড় থেকে কালিনাথ বাজার মোড় পর্যন্ত পুরো সদর রোড ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কর্মূসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল দালানের সামনে ট্রাকের ওপর মঞ্চ করে বক্তব্য দেন স্থানীয় আলেম-ওলামারা। বক্তব্য চলাকালে হাবিব মেডিকেলের সামনে থেকে মহাজনপট্টি পর্যন্ত এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচির সংবাদ কভারেজ করতে যান সাংবাদিক ইউনুস শরীফ। সেখানে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত আটকানো নিয়ে কর্তব্যরত এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে অন্য স্বেচ্ছাসেবকসহ উপস্থিত মুসল্লীদের মধ্য থেকে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ইউনুসের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি দোকানে মধ্যে নিয়ে যান।
ইউনুস শরীফ বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আটকে থাকা কয়েকজন নারীদের যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ফুটপাতের পথ ছেড়ে দিতে বললে তারা লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।’
‘এই সমাবেশ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, সন্ত্রাসীদের সমাবেশ। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।’
তিনি বলেন, এটা যদি সন্ত্রাসীদের সমাবেশ না হয়, তা হলে লোহার রড, লাঠি তাদের হাতে থাকবে কেন? আমি তো খারাপ কিছু বলিনি, শুধু বলেছি- ফুটপাত ছেড়ে দেন, নারীদের আসা-যাওয়ার পথ করে দেন।’
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলার সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তবে বিষয়টি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ আখ্যা দিয়ে আয়োজক কমিটির পক্ষে ভোলা জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারাও মাইকে উপস্থিত মুসল্লীদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার কথা বারবার বলছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক ইউনুস শরীফ ভাইয়ের সঙ্গে একজন স্বেচ্ছাসেবকের কথা কাটাকাটি হয়েছে। মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এরমধ্যেই সাংবাদিক ভাই টান দিয়ে একজন স্বেচ্ছাসেবকের মাথার পাগড়ি খুলে ফেললে অন্যরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন তাবলীগ জামায়াতের ১৪ জন
তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১৪ দিন আগে
দেশব্যাপী প্রতিভা অনুসন্ধান করা হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজনসহ সাতটি অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন, তারুণ্যের উৎসব, দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি, ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প, বাংলা একাডেমির সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প, জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন এবং শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ- এই সাতটি অগ্রাধিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করতে চাই।
উপদেষ্টা বলেন, 'আগে শিল্পকলার এমন একটা কর্মসূচি ছিল। এখন আমরা এটাকে বিস্তৃত পরিসরে করতে চাই। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা শিগগিরই দুই মন্ত্রণালয়ে মিলে এ বিষয়ে কাজ করব। বড় আকারের ট্যালেন্ট হান্ট করতে বিটিভি এবং অন্য একটি বেসরকারি চ্যানেলকে আমরা সঙ্গে নিতে চাই। যাতে আমরা দুই ধরনের দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারি।'
তিনি বলেন, 'এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে প্রচলিত বিষয়ের পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক বিষয় ঢুকবে। এর মধ্যে র্যাপও থাকবে, এমনকি আমরা এখানে স্ট্যান্ড আপ কমেডিও যুক্ত করতে পারি।'
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের পুরস্কার নয়: ফারুকী
রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন
উপদেষ্টা বলেন, 'রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন বাস্তবায়ন যা বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এবং নবতরঙ্গ সৃষ্টি করবে। এতে বাংলাদেশের ৮ জন শীর্ষ নির্মাতার মাধ্যমে ৮টি বিভাগে ৮টি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট মেকিং কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ওয়ার্কশপের আউটপুট হিসেবে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।'
এছাড়া ৮টি নতুন থিয়েটার প্রোডাকশন তৈরি করা হবে জানিয়ে ফারুকী বলেন, 'নজরুলের গান নিয়ে দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় শীর্ষ স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং এটা প্রকাশনা উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এই কনসার্ট সারা দেশে সম্প্রচার করা হবে। ফটোগ্রাফি পেইন্টিং ও কার্টুন প্রর্দশনী করা হবে।'
তারুণ্যের উৎসব
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 'তারুণ্যের উৎসব' উপলক্ষে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। এটা বিপিএলের সহযোগিতায় হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় থাকবে।
ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশনে যে লাখ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড করে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হবে। একটা বৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভিং করা হবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হবে- আপনার অভিজ্ঞতা, অংশগ্রহণ বা আপনার চোখে দেখা গল্প আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে পাঠান আমাদের কাছে। এই ভিডিওগুলো আমরা প্রচারের ব্যবস্থা নেব প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা গণহত্যা পরিচালনা করেছে তারা এখনও সেটা অস্বীকার করছে। কেউ সেটা স্বীকার করেনি, ক্ষমাও চায়নি। অপরাধ করে অস্বীকার করা হচ্ছে অপরাধের প্রথম কাজ। কাউন্টার হিসেবে আমরা এ পদক্ষেপ নেব।
সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প
এ কর্মসূচির আওতায় বাংলা একাডেমির মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা এবং বই প্রকাশ করা হবে। ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ১০টি এক বছর মেয়াদি গবেষণা বৃত্তি থাকবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থাপনা স্থাপনমোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জাতীয় জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হবে, যাতে স্টেজ পারফরমেন্সসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র/ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট ও সারা বছর প্রদর্শন করা যায়।
শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওটিটি প্লাটফর্মের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের জন্য শো-ক্রিয়েটর কর্মশালা আয়োজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নবায়ন হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটা বলে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে তারা স্বাধীন নয়।'
তিনি বলেন, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা এটা ২০২৪ এর একটি অঙ্গীকার, সেটা নিশ্চয় বাস্তবায়ন করা হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে- আপনি যে কাউকে সমালোচনা করতে পারবেন। কিন্তু যিনি খুনি তার বিচারকে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য যদি কিছু বলতে চান সেটাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলব কি না-আমি জানি না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম নিজ নিজ দপ্তরের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা মানুষকে মানুষের কাতারে আনতে চাই। আমরা একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মধ্যে আছি। মানুষকে দেবতা থেকে কীভাবে মানুষ হিসেবে দেখতে হয় সেটা আমাদের শিখিয়েছেন কবি নজরুল।
তিনি বলেন, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নজরুলের সব সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটা ইভেন্ট করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহ থেকে সেটা শুরু হয়েছে।
লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, 'যে নজরুল হারিয়ে গিয়েছিলেন তার চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা এসব কাজ করব। আমরা দুটি সংস্কৃতিক হাব তৈরি করতে যাচ্ছি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকত এলাকায় আমরা একটি নজরুল মঞ্চ করব। ধানমন্ডি লেকের পশ্চিম অংশে আমরা একটি বিদ্রোহী চত্বর করব।'
১৪৭ দিন আগে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর 'বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানকে’ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তরুণ প্রজন্মের কাছে দিনটির তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এবার দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সকালে সারা দেশে দলের সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সকাল ১০টায় দলের সিনিয়র নেতারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে ৬ নভেম্বর আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে দলটি। অনুষ্ঠানের স্থান পরে জানানো হবে।
৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
তিনি বলেন, জনসাধারণের অসুবিধা এড়াতে তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মসূচিটি নিয়েছিলেন।
ফখরুল বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে অনুরূপ সমাবেশ বের করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরতে বিএনপির সব সহযোগী সংগঠনসহ সব ইউনিট দেশব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে, যা জিয়িউর রহমানের ক্ষমতায় আসার পথকে সুগম করে।
আরও পড়ুন: অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
১৬৮ দিন আগে
হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নেবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
হাতি সংরক্ষণে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের আওতায় হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল উন্নয়ন, নিরাপদ প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, হাতির সংখ্যা নিরূপণ ও গবেষণা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও, হাতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। হাতি বসবাসের এলাকা চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা। সভায় তিনি হাতি সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন এ বিশেষ কর্মসূচির আওতায় হাতির খাদ্য উপযোগী গাছের বাগান সৃজন, জলাধার খনন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত বেড়া নির্মাণসহ বেশ কিছু কার্যক্রম নেওয়া হবে। এছাড়াও, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে বায়োফেন্সিং নির্মাণ, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন এবং হাতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, হাতি সংরক্ষণ দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে মানুষের জানমাল সুরক্ষার পাশাপাশি হাতির অস্তিত্বও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বন সংরক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ক্লিন এয়ার প্রকল্পে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
১৮২ দিন আগে
বন্যার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করবে বিএনপি
দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে সীমিত পরিসরে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে গণতন্ত্রে উত্তরণের রোডম্যাপ নেই: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের সহায়তা দিচ্ছি। আমরা একটি কেন্দ্রীয় ত্রাণ সেল গঠন করেছি। চাল, ডাল, তেল, ওষুধ, কাপড়, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছি। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েকদিন ধরে বন্যাকবলিত এলাকায় অবস্থান করছেন।’
এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষিত কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরং এসব কর্মসূচির অর্থ আমরা আমাদের দলের ত্রাণ তহবিলে বরাদ্দ দেব, যা বন্যার্তদের সহায়তায় ব্যবহার করা হবে।’
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, ফাতেহা পাঠ এবং রাজধানীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ কিছু ঐতিহ্যবাহী কর্মসূচি পালন করা হবে।
একই দিন বিকালে বন্যার্ত মানুষ, সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। বিএনপি কয়েক মেয়াদে দেশ শাসন করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণ-ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র চান: ফখরুল
২৩২ দিন আগে
চাঁদপুরে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' কর্মসূচিতে হামলায় আহত ১০
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে পূর্ব নির্ধারিত 'রিমেম্বিং আওয়ার হিরোজ' কর্মসূচি পালন করার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। তবে পুলিশের সহায়তায় ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
তারা বলছেন, হঠাৎ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র ও যুব সংগঠন ছাত্র ও যুবলীগের সদস্যরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালালে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে রাবি শিক্ষকদের বাধা
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ইউএনবি বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে রাস্তায় নামে। কিন্তু তাদের রাস্তা থেকে দূরে অবস্থান করে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হামলার বিষয়টি তার জানা নেই।
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
২৫৯ দিন আগে