রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে ‘ট্রান্সফমিং লাইফ থ্রো ইনোভেশন’ স্লোগানে নিয়ে চারদিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ৬ ফেব্রুয়ারি বেসিস সফটএক্সপো'র উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বেসিস সফটএক্সপো প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। দেশের সফটওয়্যারের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষমতা প্রদর্শন ও আস্থা তৈরিই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।
এ প্রদর্শনী এলাকাকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। এতে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইম্যান জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন।
চারদিনের এ আয়োজনে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনারের শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বক্তব্য রাখবেন।
এ বছর সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশ নেবেন বলে জানায় বেসিস।
পাশাপাশি অন্য খাত থেকে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সফলভাবে বিটুবি সেশন সম্পন্ন করা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘বেসিস টপ টেন ডিজিটাল-রেডি কোম্পানি’ এর সম্মাননা প্রদান করা হবে।
এছাড়া দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প। যাতে ৪৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শো-কেসিং, যাদের মধ্যে প্রথম তিনটি ইনোভেটিভ প্রজেক্টকে পুরস্কৃত করা হবে।
সেইসাথে থাকছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং কনফারেন্স ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণে সিএক্সও লিডারশিপ মিট।