দেশটির ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি) ‘সন্দেশ’ অ্যাপটি তৈরি করেছে। তবে আপাতত কেবলমাত্র সরকারী কর্মচারীদেরই এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ‘ডাউনলোড করার জন্য অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে দেয়া হয়নি। এটি ডাউনলোড করতে ভারতের সরকারী কর্মীদের তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এনআইসি পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে।’
তিনি জানান, আইফোন ব্যবহার করে সরকারী কর্মচারীরা অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে লগইনের জন্য সেখানেও প্রয়োজন হবে সরকারী আইডির।
বিশ্বের সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ টেলিগ্রাম
‘সন্দেশ’ অ্যপেও রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন- এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, অডিও এবং ভিডিও কল এবং বিভিন্ন ফাইল আদান প্রদানের সুবিধা।
ওই কর্মকর্তা জানান, ‘এটি (সন্দেশ অ্যপা) পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে অ্যাপটি শিগগিরই জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ভারত হোয়াটসঅ্যাপের বৃহত্তম বাজার।
ভারতের যোগাযোগ স্যাটেলাইট সিএমএস-০১ উৎক্ষেপণ
তবে গত বছরের শেষের দিকে ফেসবুকের সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য ভাগ করে নেয়ার বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ তার নতুন নীতি ঘোষণা করলে, টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মতো অ্যাপগুলোতে স্থানান্তর হতে শুরু করে ভারতীয়রা।
সিগন্যাল এবং টেলিগ্রাম উভয়ই তাদের পরিষেবার অংশ হিসাবে অত্যাধুনিক ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ থাকার দাবি করেছে এবং বিনামূল্যে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
উল্লেখ্য, সিগন্যালের নেতৃত্বে আছেন হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাক্টন। এ অ্যাপটিতে ভয়েস ও ভিডিও কলিং এবং মেসেজিং পরিষেবার মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এর আগে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের পদক্ষেপে আপত্তি জানায় ভারত সরকারও। গত মাসে, দেশটির ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় হোয়াটসঅ্যাপকে অবিলম্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বৈষম্যমূলক’ নীতি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়।