তিনি বলেন, ‘আমরা লুকায়িত অনলাইন ঝুঁকির বিরুদ্ধে আমাদের শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করব।’
যা কেবল শিশুদের অনলাইন অভিজ্ঞতাকেই নিরাপদ করবে না, সেই সাথে দেশকেও এক অনন্য রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে বলে আশা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউনিসেফের সহায়তায় সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে যেসব ঝুঁকি ও বিপদের মুখোমুখি হয় তা কমিয়ে আনতে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ দেয়ার এ কার্যক্রম শুরু করবে।
২০১৯ সালে ইউনিসেফ পরিচালিত একটি জরিপে সাইবার নিপীড়নকে (সাইবার বুল্যিং) বাংলাদেশে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩২ শতাংশ তাদের বাহ্যিক অবয়ব, পরীক্ষার ফল, ধর্ম ইত্যাদি কারণে অনলাইনে নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানায়।
অনুষ্ঠানে স্কুলের শিশু, আইসিটি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সংশ্লিষ্ট বিষয় ও সামাজিক মাধ্যম বিশেষজ্ঞ, টেলিকম অপারেটর, অভিনেতা, বাণিজ্য সমিতির প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন বিষয়ক ক্রমবর্ধমান সমস্যা ও ধারা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের এ আায়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস: ভালো ইন্টারনেটের জন্য একত্র হই’।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে শিশু ও বাবা-মাদের মধ্যে স্থানীয় ইন্টারনেট কনটেন্ট সম্পর্কে প্রচার চালানো হয়, শিশুদের জন্য নেট এটিকেট (ইন্টারনেট শিষ্টাচার) বিষয়ক সেশন পরিচালনা করা হয়, উন্মুক্ত আলোচনাকে উৎসাহিত করা হয় এবং ইন্টারনেটের নিরাপত্তামূলক বিষয়গুলো সম্পর্কে শিশু, বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবগত করা হয়।