পাঁচ কোটি রুপি না দিলে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের পরিণতিও বাবা সিদ্দিকির মতো হবে বলে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এই অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।
বার্তা প্রেরক নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে অভিনেতা সালমান খানের কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছে।’
বার্তা প্রেরক বরেন, ‘এটিকে হালকাভাবে নেবেন না, যদি সালমান খান বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান তবে তাকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ পরিণতি হবে সালমান খানের।’
মুম্বই পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুন হয়ছেন।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করা শিবকুমার গৌতম ও জিশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে শুধু শুভম লোঙ্কারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল এবং এখন এই দুজনের বিরুদ্ধেও এটি জারি করেছে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তারা নেপালে পালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে অভিযুক্ত সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকি তার বাবা ও পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
এখনও পর্যন্ত মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনজন পলাতক রয়েছে, পুলিশ সক্রিয়ভাবে তাদের সন্ধান করছে।
এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকিকে নির্মল নগরে তার অফিসের বাইরে গুলি করা হয়। এ সময় তার বুকে দুটি গুলি লাগে। তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।