লালনের ১৩১তম তিরোধন দিবস উপলক্ষে লালন ‘স্মরণোৎসব’ ও সাধু মেলার ৩১তম আসর বসতে যাচ্ছে। ফকির লালন সাঁইজির অবদান মূল্যায়ন ও তার সংগীত ভাণ্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে তার আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করা লক্ষ্যে এ সাধুমেলার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে একাডেমির বাউলকুঞ্জে এই স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিতব্য হবে।
শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শিল্পগুরু ঋদ্ধিমান লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা, পরিকল্পনায় প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর লালন স্মরণোৎসব স্থগিত
অনুষ্ঠানে লালন গবেষণা ও সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রথমবারের মতো সাত জন লালন গবেষণক ও সাধককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা করবেন।
লালন গবেষণায় সম্মাননা স্মারক পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. শক্তিনাথ ঝা (ভারত)।
লালন সাধনায় সম্মাননা পাচ্ছেন পার্বতী দাস বাউল (ভারত), ফকির মোহাম্মদ আলী শাহ (কুষ্টিয়া), ফকির আজমল শাহ্ (ফরিদপুর), নিজাম উদ্দিন লালনী (মাগুরা), শুরু বালা রায় (ঠাকুরগাঁও)। সম্মাননা স্মারক হিসেবে প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি করে ক্রেস্ট, স্মারকপত্র ও ২৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে শেষ হলো তিনদিনের লালন গানের আসর
মানবতার মহান সাধক ফকির লালন সাঁই ১৭৭৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত চাপাড়া, ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী কবি। তাঁর মর্মস্পর্শী পদাবলি বাংলার সহজ সরলমনা সঙ্গীত প্রেমীদের আত্মার খোরাক। দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ লালন ফকিরের ভাববাণীকে নিজ জীবনের ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছেন।
সৈয়দ জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের যে সব শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন তারা হলেন- কাঙ্গালিনী সুফিয়া, শফি মন্ডল, সমির বাউল, পাগলা বাবলু, লাল্টু বাউল প্রমুখ।
২০১৯ সাল থেকে প্রতিমাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘সাধুমেলা’ আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৩ দিনব্যাপী লালন উৎসব শুরু