এদিকে, ঘটনার জেরে হিরো আলমকে মারপিট করেছেন তার শ্বশুর। বিষয়টি নিয়ে আলম সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন আলম।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হিরো আলমের স্ত্রীকে আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। সেখানে কাপড় বাঁধা ছিল।’
সাদিয়া আক্তার সুমি জানান, রাতে ফোনে কথা বলা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আলম তার গলা চেপে ধরেন এবং মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
আলমের শ্বশুর বলেন, ‘আশরাফুল আলম থেকে হিরো আলম হওয়ার পর থেকেই তার আচার-ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে যায়। সে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অশান্তি করে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে সালিশ হয়েছে। কিন্তু সে ইদানিং আমার মেয়ের সাথে বেশি দুর্ব্যবহার এবং মারধর করছে।’
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে হিরো আলম বলেন, ‘দু-চারটা চড়-থাপ্পড় মেরেছি। এটা কোনো বিষয় না যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সংসার করতে গেলে ঝগড়া-বিবাদ হবেই।’
উল্টো আলমের অভিযোগ, তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়েই মূলত ঝগড়াঝাঁটি হয়। সম্প্রতি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডিসের ব্যবসা স্ত্রীর নামে লিখে দিতে চাপ দেয়। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করেছেন। সেই সাথে তাকে ফাঁসাতেই তার স্ত্রীকে আহত হওয়ার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম বলেন, ‘মারপিটের অভিযোগে শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন হিরো আলম। সে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি তার নির্যাতনে আহত হয়ে স্ত্রী সুমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’